প্রতিবেদন : সদ্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ঋষি সুনক। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। বেশ কয়েকজন বর্তমান মন্ত্রীকে তিনি যেমন ছেঁটে ফেলেছেন, তেমনই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে তিনি আবারও ফিরিয়ে এনেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন সুয়েলা ব্রেভ্যারম্যান (Suella Braverman- Rishi Sunak)। সুয়েলাকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ঋষি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও সুয়েলা ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত। সে কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। ঋষি এই তরুণ এমপিকে দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নিয়োগ করেছেন। কিন্তু সুয়েলাকে মন্ত্রিত্বে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে সেদেশে। সুয়েলা (Suella Braverman- Rishi Sunak) ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তিনি তীব্র ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত। ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে তিনি একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ভারতীয় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। একইসঙ্গে ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিরও ঘোরতর বিরোধী সুয়েলা।
উল্লেখ্য, সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর লিজা ট্রুসের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক সঙ্গে খুব একটা ভাল ছিল না। যে কারণে তিনি ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেমে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন সুয়েলা। তাই ভারত বিরোধী সুয়েলাকে গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া ঋষির উপর অনেকেই ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন-টাকার উপর লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপুন, মোদিকে পরামর্শ কেজরির
ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টির তরফে বলা হয়েছে, ঋষির সঙ্গে তাঁর পূর্বসূরি জনসন ও লিজার বিশেষ কোনও তফাত নেই। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ইস্তফা দেওয়া এক নেত্রীকেই তিনি ফের মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছেন। সে দেশের একাধিক নাগরিকও সুয়েলার নিয়োগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সকালে ঋষি বলেছিলেন এই সরকার সততা, পেশাদারিত্ব এবং দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করবে। কিন্তু বিকেলে তিনি সুয়েলার মতো একজন শৃঙ্খলাভঙ্গকারীকে স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে পুনর্বহাল করলেন। এরপর ঋষির মন্ত্রিসভা কীভাবে সততার সঙ্গে কাজ করবে!