রিভিউ বৈঠকের প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগুইহাটি প্রসঙ্গ তুলে সেটার তদন্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। পুলিশের কাজ নিয়ে তিনি যে বিরক্ত সেই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সব পুলিশের আধিকারিকদের সামনেই এদিন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট করেই এদিন বলেন, “আইসিকে সাসপেন্ড করা উচিত তোমাদের”।
আরও পড়ুন-হেরে অবসরের ইঙ্গিত নাদালের, চিলিচকে হারিয়ে শেষ আটে আলকারেজ
বাগুইহাটি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন বিধাননগরের পুলিশ সুপার। ‘এত অবহেলা কেন?’ পুলিশ সুপার সুপ্রতিম সরকারকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে৷ নবান্ন থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷
আরও পড়ুন-জাদেজার হাঁটুতে সফল অস্ত্রোপচার
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বাগুইআটিতে ২ কিশোররে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন ১২ দিন ধরে বসিরহাট পুলিশ মর্গে অতনু দে ও অভিষেক নস্করের দেহ পড়ে থাকলেও জানতে পারেননি বাগুইআটি থানার আধিকারিকরা এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন নিহত ২ কিশোরের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ক্রিকেট থেকে অবসর রায়নার
নিহত অভিষেক নস্করের বাবা বলেন, ‘পুলিশ আমাদের মিখ্যে কথা বলেছে। ভুল পথে চালিত করেছে। আমাদের দিনের পর দিন থানায় বসিয়ে রেখেছে। অথচ দেহ পড়ে ছিল বসিরহাট মর্গে।’