অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সুদূর জোশীমঠের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জবাসীর (Paschim Bardhaman- Raniganj) ভাগ্য যেন একই সুতোয় বাঁধা। রানিগঞ্জ (Paschim Bardhaman- Raniganj) খনি এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষকে প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে অকালমৃত্যুর আতঙ্ক। যে কোনও সময় নামতে পারে ভয়াবহ ধস। খনি এলাকায় রয়েছে প্রায় ১৪৬টি ভয়াবহ ধসপ্রবণ অঞ্চল। কোল ইন্ডিয়ার হিসেবে সেখানে বাস দেড় লক্ষ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ভয়ানক আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কারণ, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি কয়লা মন্ত্রক বা ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ২০১১-র ১৬ জুন পরাশকোল খনি এলাকায় ধসে তলিয়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের চারজনের। ২০১৩-র ২৬ সেপ্টেম্বর ডিসেরগড়ের শিশুবাগানে পাতালপ্রবেশ ঘটে হেনা পারভিন নামে এক মহিলার। ২০২০-র ১৯ জুন অণ্ডালের জামবাদ এলাকায় ধসে আস্ত বাড়ি-সহ তলিয়ে যান শাহনাজ বেগম নামে এক মহিলা। চারদিন পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ধরনের অজস্র ঘটনা ঘটে চলেছে খনি এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছে, এই এলাকায় বারবার কেন ঘটছে এই ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা? ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার সোমনাথ দাস বলেন, খনি থেকে কয়লা তুলে নেওয়ার পর সেই জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করতে হয়, কিংবা শালবল্লা দিয়ে ঠেকা দেওয়া হয়। তা না করাতেই ভূমিধস। অভিযোগ, ইসিএলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যোগসাজশে একশ্রেণির ঠিকাদার বালি ভরাটের কাজ করে না।
আরও পড়ুন-ওবিসি পড়ুয়াদের ‘মেধাশ্রী’ প্রকল্পে ভাতা দেবে রাজ্য, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী