প্রতিবেদন : মাত্র বছরখানেকের মধ্যেই বিজেপির প্রতি তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। যে কারণে একনাথ শিন্ডে শিবিরের ২২ জন বিধায়ক ও ৯ জন সাংসদ অবিলম্বে জোট ও দল ছাড়তে চাইছেন। তবে জোট ছাড়তে চাওয়া সাংসদ ও বিধায়কদের এই সংখ্যাটা আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) মুখপত্র সামনায়। সামনা দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার ২২ জন বিধায়ক এবং ৯ জন সাংসদ বিজেপির প্রতি প্রবল অসন্তুষ্ট হয়ে দল ছাড়তে চাইছেন।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে আলোচনা হতে পারে, ইমরানকে জানাল শাহবাজ সরকার
যে ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি তাঁদের উদ্ধব শিবির থেকে ভাঙিয়ে এনেছিল শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির কোনওটাই তারা পূরণ করেনি। এক বছরের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, বিজেপি এবং ওই দলের মোদি-অমিত শাহর মতো শীর্ষ নেতারা নিতান্তই ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধব শিবির থেকে তাঁদের টেনে এনেছিলেন। সে কারণেই বিজেপির প্রতি শিন্ডে শিবিরের বিধায়ক ও সাংসদদের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। উদ্ধব শিবিরের সাংসদ বিনায়ক রাউত বলেছেন, ওই বিক্ষুব্ধ সাংসদ ও বিধায়করা তাঁদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দল ছাড়তে চান। কারণ জোট সরকারের আমলে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি।
আরও পড়ুন-সফল অস্ত্রোপচার সরকারি হাসপাতালে, গৃহবধূর পেটে ৮ কেজির টিউমার
জোট সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় তাঁরা নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রের মানুষের কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছেন। আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়কও জোট ছাড়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। সোমবার সামনায় লেখা হয়েছে, শিবসেনার প্রবীণ নেতা গজানন কীর্তিকর, যিনি হাম হ্যায় শিবসেনা স্লোগান তুলেছিলেন, তিনি প্রকাশ্যেই বিজেপির আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিবসেনা জোটে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। কীর্তিকর বিজেপির বিরুদ্ধে বৈষম্যের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা ১৩ জন সাংসদ আর এনডিএ-র অংশ নই। আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের নির্বাচনী এলাকার সমস্যাগুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কীর্তিকর আরও দাবি করেছেন, তাঁরা রাজ্যের ২২ টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তবে বিজেপি তাঁদের ৫-৭টি আসনও ছাড়তে রাজি নয়। বিজেপির এই দাদাগিরি তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধেও লড়াই করবেন। সামনায় আরও বলা হয়েছে, আত্মসম্মান ও সম্মান কখনওই টাকা দিয়ে কেনা যায় না। তা আবারও প্রমাণ হল।