সংবাদদাতা, মালদহ: নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা গৃহবধূ । অর্থের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল মেধাবী ছাত্রী মালদহের কাটাহা গ্রামের বাসিন্দা পায়েল রহমানের। তখনই পরিত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়ান বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। লেখা পড়ার সুবিধার জন্য ছাত্রীর হাতে তুলে দেন ল্যাপটপ।
আরও পড়ুন-‘মাছের তেলে মাছ ভেজেছে’ মোদি সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
পাশাপশি প্রতি মাসে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অভাবের সংসারে ছোট থেকেই মেধাবী পায়েল। ২০১৫ সালে স্থানীয় কেপাতুল্লা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ছোট থেকেই মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। তাই মেয়েকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির আল আমিন মিশনে। সেখান থেকেই ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন পায়েল। চিকিৎসক হওয়ার জন্য নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেন। সফল হন। বর্তমানে তিনি কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ক’দিন পরেই তৃতীয় বর্ষে উঠবেন। পড়ার জন্য ল্যাপটপ দরকার।
আরও পড়ুন-ঘাটালে সভা অভিষেকের
স্থানীয় বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সির সঙ্গে দেখা করেন পায়েল। পায়েলের কাছে সব জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক। পায়েলকে ল্যাপটপ দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পায়েলকে কথা দেন, প্রতি মাসে পায়েলের অ্যাকাউন্টে তাঁর পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বিধায়ক রহিম বক্সি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান কর্তব্য।