সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ইস্তফা দিলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। সেই সঙ্গে প্রত্যাহার করা হল পরীক্ষা বিভাগের কালা নোটিশও। বাংলাদেশ ভবনে সোমবার রাতভর আটকে ছিলেন রেজিস্ট্রার। তারপরই ইস্তফা দেন। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। আটকে আছেন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার অফ এগজাম দেবাশিস চক্রবর্তী, জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ, প্রোক্টর সুদেবপ্রতিম বসু প্রমুখ।
আরও পড়ুন-বিজিপ্রেসে কর্মরত ২২৩ জনের কারো চাকরি যাবে না, নিয়োগ হবে অন্যত্র
যদিও অনশনরত পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা কাউকেই আটকে রাখেননি। সোমবার বাংলাদেশ ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পড়ুয়ারা জানতে পেরে সেখানে অবস্থান করেন। রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল জানান, বৈঠকে ঢুকতে প্রথমে বাধা দিলেও পরে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই আসতে পারেননি বলে বৈঠক বাতিল হয়। এরপর তাঁদের বেরোতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়ারা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। ওসি দেবাশিস পণ্ডিত গিয়ে আধিকারিকদের বের করে আনতে চান। কিন্তু ওঁরা আসতে চাননি। ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, কর্মসচিব চাইলে পুলিশের মতো আমাদের টপকে যেতে পারতেন। বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ওঁদের আটকানো হয়নি। আমাদের ছেলেরা রাস্তায় শুয়ে আছে। চাইলে টপকে যেতে পারেন। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানলে, অনশনরত পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করলে, তার দায় নিতে হবে বিশ্বভারতী তথা উপাচার্যকে। পরীক্ষা না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি-নোটিশ তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-হোলিকা দহন উপলক্ষে ১৭ মার্চ রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড়
শেষ খবর, অনশন চলছে, রেজিস্ট্রার-সহ অন্য আধিকারিকরা বাংলাদেশ ভবনেই আছেন। কলকাতা উচ্চ আদালতে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননার’ মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও আদালত জানিয়েছে, আদালত বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পারে না। বিশ্বভারতীর অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রেজিস্ট্রার নিজেই উপাচার্যের সব সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না, তাই ইস্তফা দিয়েছেন। একইভাবে চাপ নিতে না পেরে অনেকেই ইস্তফা দিয়েছেন।