প্রতিবেদন : চুরির ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে থানায় তুলে আনে যোগীরাজ্যের এক কীর্তিমান পুলিশ ইনস্পেক্টর। শুধু তুলে আনাই নয়, থানার লকআপেও ওই মহিলার উপর তিনদিন ধরে চালানো হয়েছে নৃশংস অত্যাচার। কোনওভাবে ওই মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এক মহিলার উপর এই নৃশংস অত্যাচার ভিডিও দেখে সরব হয় সকলেই। তোপ দাগে বিরোধীরা। মুখরক্ষা করতে তড়িঘড়ি ওই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে (Uttar Pradesh Hamirpur)।
আরও পড়ুন: চাপের কাছে মাথা নত নয়, ফের বললেন সঞ্জয়
জানা গিয়েছে, একটি চুরির ঘটনায় (Uttar Pradesh Hamirpur) এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়েছিলেন এক পুলিশ ইনস্পেক্টর। কিন্তু অভিযুক্তকে না পেয়ে তার স্ত্রীকেই গ্রেফতার করে থানায় আনেন ওই ইনস্পেক্টর। ধৃতকে আদালতে পেশ না করে তিনদিন ধরে থানাতেই তাঁর ওপর চলে নির্মম অত্যাচার। এমনকী, অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে ওই মহিলার বাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। কোনওভাবে ওই পুলিশ ইনস্পেক্টরের হাতে মহিলার উপর হওয়া চরম অত্যাচারের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর কড়া শাস্তির দাবি ওঠে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে নিজেদের মুখ বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত ওই ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করে দায় সেরেছে প্রশাসন। মঞ্জুল নামে ওই অত্যাচারিত মহিলা বলছেন, পুলিশকর্তা তাঁর স্বামীকে না পেয়ে বাড়িতেই তাঁকে বেদম মারতে শুরু করেন। এরপর থানায় নিয়ে এসেে লকআপে ঢুকিয়ে দেন। তিনদিন ধরে লকআপের মধ্যে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশের অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই মহিলা।