সংবাদদাতা, দিঘা : উপকূলবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে, বর্ষা আসার আগেই যশ-বিধ্বস্ত রামনগরের শঙ্করপুর সংলগ্ন জামড়া-শ্যামপুর থেকে তাজপুর, প্রায় তিন কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হল জোরকদমে। উপকূল বরাবর ২.৮ কিলোমিটার কংক্রিটের সুরক্ষাবলয় তৈরি হবে। কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগ। এর জন্য ৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে। বর্ষার আগেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যশ ঘূর্ণিঝড়ের পর ভাঙা বাঁধের উপর গ্রানাইট পাথর, বোল্ডার প্রভৃতি ফেলে অস্থায়ী প্রতিরোধ তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ বিজেপি মন্ত্রীর
বর্তমানে মাটির প্রাকৃতিক বাঁধের গায়ে কংক্রিটের শক্তপোক্ত বাঁধন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য দু’দিকে লোহার রডের খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। কংক্রিট দিয়ে পুরো বাঁধটাকে মুড়ে ফেলা হবে। কংক্রিটের বাঁধের জন্য যথেষ্ট জায়গার প্রয়োজন ছিল। যাঁদের সমুদ্রতীরে জমি রয়েছে, তাঁরা স্বেচ্ছায় বাঁধ তৈরির জমি দিয়েছেন। আগে সমুদ্রবাঁধ দুর্বল ছিল। কাঠের বল্লা পুঁতে তার মধ্যে গ্রানাইট ও বোল্ডার ফেলে ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাস আটকান হত।
আরও পড়ুন-ভাদু শেখের খুনে ঝাড়খণ্ডে ধৃত তিন
প্রতি বছর বর্ষাকালে সেই বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকে পড়ত। বাসিন্দাদের প্রচুর ক্ষতি হত। বছরদুয়েক আগে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্রবাঁধ যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের বছর যশ বিপদে ফেলে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি ছিল, উদ্বেগহীন জীবন কাটাতে স্থায়ী এবং শক্তপোক্ত বাঁধ চাই। সেইমতোই কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। স্থানীয় মানুষের আশা, এবার আতঙ্কের অবসান হবে।