ছুতো পেয়েই অমর্ত্যকে উপাচার্যের অশালীন আক্রমণ, বিশ্বভারতীকে প্রাক্তনীর ১০ কোটির সম্পত্তি

এদিন বিশ্বভারতীকে আড়াই বিঘা জমি-বাড়ি, যার মূল প্রায় ১০ কোটি টাকা, দান করলেন প্রাক্তনী এক প্রবাসী বিজ্ঞানী দম্পতি।

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর: যে কোনও ছুতোয় বিশ্ববন্দিত অমর্ত্য সেনকে অপমান করাটা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। এদিন বিশ্বভারতীকে আড়াই বিঘা জমি-বাড়ি, যার মূল প্রায় ১০ কোটি টাকা, দান করলেন প্রাক্তনী এক প্রবাসী বিজ্ঞানী দম্পতি। নাম অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ও নীতা মুখোপাধ্যায়। সম্পত্তির কাগজপত্র তুলে দিলেন উপাচার্য ও কর্মসচিবের হাতে।

আরও পড়ুন-দুই জেলায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার

সম্পত্তি হস্তান্তরের পরই নাম না করে অমর্ত্যকে বিঁধলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বললেন, ‘‘একজন সাড়ে ছ’কাঠা জমির জন্য কী করছে দেখুন, আরেকজন নির্দ্বিধায় গুরুদেবকে এত বড় সম্পত্তি দান করে দিলেন।” এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী এই ঘটনার প্রকাশের পাশাপাশি, নাম না করে অমর্ত্যকে ফের জমি দখলকারী, নীচ ও কৃপণ বলে অসম্মানিত করে। এই ঘটনায় প্রাক্তনীরা উপাচার্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। অরবিন্দবাবুকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের বক্তব্য, কেউ তাঁর সম্পত্তি দান করলে তা ধন্যবাদার্হ, তাই বলে উপাচার্যের এই অসভ্যতা মেনে নেওয়া যায় না। এদিনই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অনুপম হাজরা প্রাক্তনী সুপ্রিয় ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করে উপাচার্যের সমালোচনা করে বলেন, উনি প্রাক্তনীদের সম্মান দেন না।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কোভিডবিধি তুলে নেওয়ার ঘোষণার পরেই আর্থিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার রাজ্যের

মুর্শিদাবাদ জেলার কাকগ্রামের অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ১৯৫১ সালে শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে পড়াশোনা করতে আসেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে। মেটেরিয়াল সায়েন্সে তাঁর একাধিক পেটেন্টও রয়েছে। লন্ডনে কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৭ সালে সীমান্তপল্লিতে একটি বাড়ি করেন প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপর। ওঁদের এক পুত্র ও কন্যা৷ তাঁরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অধ্যাপনা করেন।

Latest article