প্রতিবেদন : নতুন বালি খাদান নীতির আওতায় খাদান নিলাম করে আগামী পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে অনুমান রাজ্যের। যা ওই খাদানগুলি থেকে প্রাপ্য রয়্যালিটি সেস ও রাজস্বের থেকে অনেক বেশি। ১১৫৪ হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত শতাধিক বালি খাদান নিলাম করার মধ্য দিয়ে এই রাজস্ব আদায় করা হবে বলে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যের অর্থে ১২০০০ কিমি রাস্তা
শনিবার বিধানসভায় দফতরের বাজেট আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১-এ ওই নতুন বালি খাদান নীতি কার্যকর করার পরে চারটি পর্যায়ে বালি খাদানগুলি নিলাম করে নতুন মাইন ডেভেলপার ও অপারেটরদের বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খাদান থেকে বালি তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫৭ লক্ষের বেশি ই-চালান তৈরি করা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের শেষে এই খাতে রাজ্য সরকার এই খাতে ৪০০ কোটি টাকার বেশি আয় করবে। রাজ্য সরকারের এই নতুন বালি খাদান নীতি পরিবেশবান্ধব এবং ভাঙনপ্রবণ নদী উপত্যকাকে রক্ষা করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। রাজ্য সরকারের নতুন খনিজ নীতির সাফল্য তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজ্যে নতুন ১৫৯টি খনিজ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-বসন্তেই কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
কোল বেড মিথেন উত্তোলন করে ৭৭ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করা গেছে। কয়লায় ১৪ কোটি টাকার বেশি রয়্যালটি এবং প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার বেশি সেস আদায় হয়েছে। মন্ত্রী জানান, কয়লা বাদেও বীরভূম জেলার মোকদমনগরে ও তেঁতুলবেড়িয়াতে প্রতি বছরে ৩০,০০০ মেট্রিক টন উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন চিনামাটি ও ফায়ার ক্লের প্রকল্প চলছে। এই জেলার হাটগাছায় জেঠিয়া কালোপাথর খনি কার্যকর রয়েছে যা এই আর্থিক বছরে ৫০,০০০ মেট্রিক টন উৎপাদন করেছে। পুরুলিয়া পালসারা-১এ কালোপাথরের উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-ভাঙড় নিয়ে পর্যালোচনা, শওকতকে দায়িত্ব দিলেন বক্সি
পালসারা ৩-এ দরকারি অনুমতি পেলেই দ্রুত উৎপাদন শুরু হবে। পুরুলিয়াতে মালতীতে মালতী ফায়ার ক্লে প্রকল্প শুরু হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার বড় পাঞ্জানিয়াতে প্রতি বছরে ১২০০০ কিউবিক মিটার উত্তোলন ক্ষমতার গ্রানাইট প্রকল্প শুরু হয়েছে। আলোচনার শেষে শিল্প দফতরের বাজেট প্রস্তাবটি সভায় ধ্বনিভোটে গৃহীত হয়।