সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : লকডাউনের সময় অক্লেশে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে ফেলা যেত। তা না করে এই স্বাভাবিক সময়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগে নন-ইন্টারলকিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লক নেওয়ার কাজ শুরু করল রেল। যার জেরে দু’সপ্তাহ চরম দুর্ভোগে পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। মঙ্গলবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিত্যযাত্রী প্রবল ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন-২৩ লক্ষ টাকায় তৈরি ওটি
রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৩ থেকে ৩১ মে বিভিন্ন দিনে একাধিক ট্রেন চলবে না। মোট ২৩টি ট্রেন সাময়িক বাতিল হচ্ছে। সাতটি ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হচ্ছে। এছাড়া ১৫৬৪০ নং কামাখ্যা-পুরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২৯ মে দু’ঘণ্টা দেরিতে চলবে। সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হবে আদ্রা বিভাগের আদ্রা-আসানসোল, আদ্রা-গোমো, আদ্রা-টাটা, আদ্রা-রাঁচি ও আদ্রা-হাওড়া বিভাগে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হল ১২৮৮৩ আপ ও ১২৮৮৪ ডাউন সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস (বন্ধ থাকবে ২৬ মে থেকে ৩০ মে), ১৮৬২৭ আপ, ১৮৬২৮ ডাউন হাওড়া-রাঁচি-হাওড়া এক্সপ্রেস (বন্ধ থাকবে ৩০ মে), ১৮০০৩ আপ হাওড়া-আদ্রা এক্সপ্রেস (বন্ধ থাকবে ২৫ থেকে ৩১ মে), ১৮০০৪ ডাউন আদ্রা-হাওড়া এক্সপ্রেস (বন্ধ থাকবে ২৪ মে থেকে ১ জুন) এবং ১৮০১২ আপ ও ১৮০১৩ ডাউন হাওড়া-চক্রধরপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস (বন্ধ থাকবে ২৭ থেকে ৩১ জুলাই)। একগুচ্ছ লোকাল ট্রেনও টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন-কঠোর ব্যবস্থা নিতে তৎপর হল প্রশাসন, বুড়ি বালাসনে মাফিয়ারাজ
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ধীরে ধীরে সব ট্রেন চলতে শুরু করেছিল। টানা কয়েকদিন রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে রুজিতে টান পড়বে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এভাবে এত দীর্ঘ সময় ধরে পাওয়ার ব্লক নিতে কখনও দেখা যায়নি। যাত্রীদের কথা না ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাওয়ার ব্লক প্রয়োজনে নিতেই হবে। তবে তা ধাপে ধাপে নিলে যাত্রী-হয়রানি কমত।