প্রতিবেদন : এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। পৃথিবীর প্রথিতযশা অধ্যাপক এবং শিক্ষাবিদরা চিঠি দিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। স্পষ্ট দাবি, এখনই সরিয়ে দিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের স্পন্দন জড়িয়ে থাকা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করছেন তিনি। দেশের শাসক দলের বিরোধিতা করার কারণেই পৃথিবীর গর্ব নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে অপমান করছেন উপাচার্য। আগেও আপনাকে জানানো হয়েছে। আবার জানালাম। এবার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ৩০২ জন অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ।
আরও পড়ুন-উত্তর-পূর্ব ভারতে এই প্রথম আধুনিক পরিষেবা শুরু, মেডিক্যালে বয়স্কদের চিকিৎসা
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক জর্জ ই একারলোফ, লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যাপিকা অর্পিতা ভট্টাচার্য, ব্রিটেনের ডারহাম ইউনিভার্সিটির বিভাস সাহা, আমেরিকার বোস্টন কলেজের চার্লস ডার্বার, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, বিশ্বভারতীয় আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ বিশিষ্টরা। প্রত্যেকের স্পষ্ট কথা, শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শাসক দলের সমর্থক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তিনি এসব করছেন। অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন। বিশ্বভারতীতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। ওই চিঠিতে মূলত ১৭ মার্চ এবং ১৯ এপ্রিলের দুটি চিঠিতে যেভাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে অমর্ত্য সেনকে প্রতীচীর পৈতৃক জমি থেকে উৎখাতের অপচেষ্টা করা হয়েছে, তা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পক্ষে অপমানজনক। স্বভাবতই এর ফলে দেশের গরিমা ভূলণ্ঠিত।
আরও পড়ুন-গান্ধীর খুনির প্রশংসা বিজেপি মন্ত্রীর মুখে
পাশাপাশি বিশ্বভারতীর একাধিক অধ্যাপককে চাকরিচ্যুত করার লক্ষ্যে শোকজ নোটিশ সহ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তির খাড়া সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনে বলা হয়েছে ৮০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী তথা ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনের পৈতৃক জমি নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হওয়ার পরই এরকম আচরণ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, সহকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি শতাধিক মামলা কলকাতা উচ্চ আদালতে চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-রেলের গতিই এখন কেন্দ্রের অগ্রাধিকার!
উপাচার্য কীভাবে নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে অপমানসূচক শব্দ প্রয়োগ করেছেন তার ভিডিও লিঙ্ক দিয়েছেন। বিশ্বভারতীর আচার্য এ-ব্যাপারে নীরব থেকে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপাচার্যের এই আচরণে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যেই তিনি অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলার বুদ্ধিজীবীরা শান্তিনিকেতনে প্রতিবাদ সভাও করেছেন।