প্রতিবেদন : ক্রিসমাস ও নতুন বছরের উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি সরকার। দেশ ও রাজধানীতে দ্রুত বাড়ছে ওমিক্রন-আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয় তা স্পষ্ট। এরপর উৎসব পালিত হলে বিপদ আরও বাড়বে, তাই লাগাম টানল রাজ্য সরকার।
উৎসবের মরশুমে সাংস্কৃতিক, জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি। ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের জন্য যাতে কোনওরকম জমায়েত না হয় বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়, সেজন্য বুধবার দিল্লির সরকারের তরফে সমস্ত জেলাশাসক এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-আশার আলো ওমিক্রনের উৎসস্থলেই
এদিকে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আগেই দুশো ছাড়িয়েছে। বুধবার তা ২১৩ হয়ে গেল। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ২০২। বুধবার তা ১১ জন বেড়ে হল ২১৩।
এদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মধ্যে যেন দড়ি টানাটানির লড়াই চলছে। মহারাষ্ট্রে বুধবার নতুন করে ১১ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সবমিলিয়ে সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫-তে। দিল্লিতে নতুন করে তিন জন আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে এখন মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭।
আরও পড়ুন-আজ কলকাতার মেয়র নির্বাচন
পাশাপাশি তেলঙ্গানায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, কর্নাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮ এবং গুজরাতে ১৪। জম্মু-কাশ্মীর, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, লাদাখ তামিলনাড়ুতেও ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬,৩১৭ জন। মঙ্গলবারের তুলনায় যা ১৮ শতাংশ বেশি।