সংবাদদাতা, কাটোয়া : ‘সবার মুখে একটাই গান/সেরা হবে বর্ধমান।’ সোমবার বর্ধমানের সভায় এই স্লোগান উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর (Bardhaman- Mamata Banerjee) গলায়। আর তা যে কথার কথা নয়, তার হাতে গরম প্রমাণও মিলল। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেলিপ্যাড তৈরি হলেও হেলিকপ্টারে না এসে কলকাতা থেকে ২ নং জাতীয় সড়ক ধরে দু’পাশের শহর-গঞ্জের মানুষের শুভেচ্ছায় ভাসতে ভাসতে গাড়িতে পৌঁছন বর্ধমান। ঘোষণা করেন, অস্থায়ী হেলিপ্যাডটি স্থায়ী হবে। অণ্ডালে বিমানবন্দর হয়েছে। বর্ধমানে হেলিপ্যাড থাকলে কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদার সঙ্গে দূরত্ব হবে পনেরো-বিশ মিনিটের। নিম্ন দামোদর অববাহিকার হাজার কোটির সেচ প্রকল্পে বর্ধমান যুক্ত হবে। মেদিনীপুর থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত ফ্রেট করিডরও বর্ধমান ছুঁয়ে যাবে। বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা, শক্তিগড়ের ল্যাংচাকে ‘আমাদের গর্ব’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। নতুনগ্রামের দারুশিল্প ও আউশগ্রামের ডোকরাশিল্পের প্রসারে গুরুত্বদানের কথা বলেন। কৃষি ও শিল্পের যৌথ ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বর্ধমান একদিন কলকাতাকেও হারিয়ে দেবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী (Bardhaman- Mamata Banerjee)। জব ফেয়ারের মাধ্যমে জেলার যুব সম্প্রদায়কে দেন বিপুল কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন: বিজেপি-আশ্রিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মহামিছিল