সংবাদদাতা, দিঘা : দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণিকে এতদিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল সমুদ্র। এবার এই চার পর্যটন কেন্দ্র বাঁধা পড়ছে এক সুতোয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত স্বপ্নের সেই প্রকল্পের নাম ‘দিঘা মেরিন ড্রাইভ’। এই চার পর্যটন কেন্দ্রের সমুদ্র সৈকতের উপর গড়ে ওঠা মেরিন ড্রাইভের রাস্তা দিয়েই পর্যটকরা গাড়িতে বসে সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এক সৈকত থেকে অন্য সৈকতে পৌঁছে যাবেন সহজে এবং কম সময়ে। নবনির্মিত এই সৈকত সরণি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন-জাতীয় পুরস্কারে সেরা বাংলা ছবি অভিযাত্রিক
দিঘা সফরে এলে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই বহুকাঙ্ক্ষিত এই মেরিন ড্রাইভ তথা সৈকত সরণির উদ্বোধন হবে। সমুদ্র সংযোগকারী নায়েকালী সেতুর কাজ আগেই সম্পূর্ণ হয়েছিল। জলধা ও শৌলার বাকি দুই সেতুর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে পূর্ত দফতর (হাইওয়ে)। সমুদ্রবাঁধের ওপর দিয়ে ৩০ কিমি রাস্তার কাজও প্রায় শেষ করেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। শৌলার পুরুষোত্তমপুর এলাকায় বাকি অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে। রাতের সৈকত সরণির সৌন্দর্য বাড়িয়ে অন্ধকার দূর করতে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা খরচে বসানো হয়েছে নিয়ন আলো।
আরও পড়ুন-অনুমতি নেই কমিশনের
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘দিঘা বাইপাস থেকে নায়েকালী সেতু পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিমি রাস্তার ধারে শ খানেক পথবাতি লাগানোর কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ। দ্রুত বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে।’ পরীক্ষামূলকভাবে আলো জ্বালানো হয়েছে বাতিস্তম্ভে। সেই আলোয় মোহময়ী রূপে হাজির রাতের দিঘা। রাতের সৈকত সরণির অপরূপ সৌন্দর্য নজর কাড়ছে পথচারী থেকে পর্যটকদের। দিঘা বাইপাসের কাছে সৈকত সরণিতে ওঠার মুখে গড়া হবে সুসজ্জিত প্রবেশপথ। বাইপাস থেকে নায়েকালী সেতু পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। সেজে উঠবে পরিযায়ী পাখির আশ্রয় দিঘা মৎস্য খামার ক্যাম্পাসটি।