এই প্রথম শুধুমাত্র চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ তারিখ মালবাজারে অভিষেকের সভা হবে। তার আগে আজ ১০ তারিখ দলের শ্রমিক সংগঠন নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে সম্মেলন হয়েছে। সেখানে শ্রমিকদের কথা শুনলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুর সফর ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে
লটারির মাধ্যমে শ্রমিকদের মধ্য থেকে বক্তা বেছে নেওয়া হয়েছে। কাল শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য সরকার একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল আগেও তবে ভোটের বাক্সে যে তেমন প্রভাব পড়েনি সেটা স্পষ্ট। তাই চা শ্রমিকদের মন বুঝতে ও তাদের কাছে দলের বার্তা নিয়ে যেতে সরাসরি হাজির হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের জন্য দিঘা থেকে সরছে বেআইনি হকার
শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই এবার তৈরি হবে সংগঠনের রূপরেখা, জানালেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “উত্তরের চা-শ্রমিকরা এই সম্মলনে উপস্থিত থাকবেন। হলদিয়ার মতোই থাকবে কাচের বয়াম। জেলাভিত্তিক যে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা বলতে ইচ্ছুক তাঁরা কাগজে নাম লিখে বয়ামে জমা দেবেন। লটারি করে নাম নির্বাচন করা হবে। নেতৃত্ব যাঁরা তাঁরা কিছু কথা বলবেন এরপর বাকি গোটা দিনই সম্মেলনের প্রতিনিধিরা বলবেন।পরের দিন অর্থাৎ ১১ তারিখ ওই সম্মেলনের নির্যাস নিয়েই চা-শ্রমিকদের এ-যাবৎকালের বৃহত্তর সমাবেশে আলোচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কালচিনি এবং নকশালবাড়িতে চা-শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মসূচি। সেই সম্মেলনেও চা-শ্রমিকদের সুবিধা, অসুবিধা প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হয়। বাংলার বুকে চা শ্রমিকদের নিয়ে এই সভা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বাম জমানায় ও পরবর্তীতে বিজেপি শ্রমিকদের প্রলোভিত করেছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাদের হাতে ন্যায্য পাওনা পৌঁছে দেয়নি।”