মহিলাদের বিরাট জয়। হিজাব (Iran- Hijab Protest) বিরোধী আন্দোলনের চাপে নীতিপুলিশ বাহিনী তুলে নিচ্ছে প্রশাসন। গত দুমাস ধরে লড়াইয়ের পর ইরান সরকারের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ইরানের সেই নীতি পুলিশ। ইরানের সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।
ইরান সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের নীতি পুলিশ ‘গস্ত-এ-এরশাদ’কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি ওই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই নীতি পুলিশেরা ইরানের বিচারব্যবস্থার অংশ ছিল না কোনও দিনই। তাদের ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পোশাক বিধি না মানার জন্য এই নীতি পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছিল তরুণী মাহাসা আমিনির। এরপরই ইরানের মহিলারা আন্দোলনে নামেন এই নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে। ব্যাপক এই আন্দোলন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। আন্তর্জাতিক স্তর থেকেও সমর্থন জানানো হয় এই আন্দোলনকে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে কিছুটা হলেও পিছু হঠল ইরান সরকার।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধকতা পরাজিত যেখানে…
উল্লেখ্য, ইরানের (Iran- Hijab Protest) এই নীতি পুলিশকে বলা হয় ‘গস্ত-এ-এরশাদ’। যার অর্থ ‘পথপ্রদর্শক বাহিনী’। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের উদ্যোগে ২০০৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই নীতি পুলিশের কর্মকাণ্ড। জানানো হয়নি এই নীতি পুলিশের কাজ হবে ইরানের হিজাব সংস্কৃতি রক্ষা করা। এবং মেয়েদের ‘শালীনতার পাঠ’ দেওয়া। তবে শালীনতার পাঠ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সামান্য ভুলচুকে অত্যাচার চরম আকার ধারণ করে। তরুণী মাহাসা আমিনের মৃত্যুর পর এদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন ইরানের মহিলারা। তাঁদের আন্দোলনেই এবার কিছুটা হলেও পিছু হটল ইরান প্রশাসন।