সংবাদদাতা, কাটোয়া : পুরুষ-নারীর সাম্যের সমর্থনে সরব হল কাটোয়ার বিকিহাটের এক বিবাহবাসর। শঙ্খের মঙ্গলধ্বনি ছিল। উলুধ্বনিতে কাঁপল ছাদনাতলা। সানাইয়ের রাগ-রাগিণী, নান্দীমুখ, লাজাঞ্জলি, সপ্তপদীর চেনা রীতি-আচারের মধ্যেও নজর টানল নারী পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে বিয়ে। সাক্ষী থাকল কাটোয়ার বিকিহাট।
আরও পড়ুন-ফেসবুক গ্রুপ ফিরিয়ে দিল পাঁচ বছর নিখোঁজ যুবককে
কনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত সোমাশ্রী বিশ্বাস। হিন্দুবিয়ের চলিত রীতি পাশে ঠেলে যজ্ঞের শিখাকে সাক্ষী রেখে বিশ্বজিৎ জানাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলেন। সিঁথিতে সিঁদুর পরলেন না। স্বামী তর্জনীতে দিলেন সিঁদুরের টিপ। সোমা তর্জনির সিঁদুরে রাঙালেন বিশ্বজিতের ললাট। সোনা-রুপোর অলঙ্কারের বৈভব ছিল না। ফুলের মালা-মুকুটে সাজিয়ে পিঁড়িতে বসেন সোমাশ্রী। কন্যাদানের চলতি রীতি বাতিল। গাঁটছড়ার গিঁটেও বর-কনে বাঁধা পড়লেন না। সোমাশ্রী-বিশ্বজিতের বিশ্বাস, মনের বাঁধনে, বিনি সুতোর বাঁধনে।
আরও পড়ুন-হাজার মানুষকে বাড়ি-জমির পাট্টা
এই বিবাহবাসর সব অর্থেই রচনা করল নারী-পুরুষের সাম্য। একজন পুরুষ এক নারীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে চিহ্নিত করবে, এটাকে ঘৃণ্য প্রথা মনে করেন সোমাশ্রী। ‘এর প্রতিবাদের প্রয়োজন। সমাজে একটা পরিবর্তন দরকার। সেটা শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে।’ সোমাশ্রীর ইচ্ছেপূরণ এত সহজে হতে পারল, তাঁর পরিবার ও স্বামী বিশ্বজিত তাঁর পাশে দাঁড়ানোয়।