বিশ্বভারতী নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ রাঙাবিতানে (Rangabitan) বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন আজ তিনি৷ বৈঠক শেষ করে মমতা ক্ষুব্ধ হয়েই বলেন, ‘নানারকম ভাবে অত্যাচার চলছে, এ নিয়ে কখনও দেখি না কোনও আলোচনা করতে’।
আরও পড়ুন-তারাপীঠে দ্বারকা নদীর ধারে এবার সন্ধ্যারতি
বিশ্বভারতীতে বেশ কয়েক বছর হল বিতর্কের অবসান হচ্ছেই না ৷ এবার অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে মতবিরোধ দেখা দেয়৷ এবারের জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি গিয়ে জমির কাগজপত্র তুলে দেন তার হাতে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে শুনেছি অনেক, কিন্তু এখন যেটা দেখলাম, সেটা মোটেই কাম্য নয়৷ ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রমিক, সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে৷ কী করবেন পড়ুয়ারা, ভবিষ্যতের পথ দেখাবেন তাঁরা৷ তাঁদের যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, যে ভাবে অধ্যাপকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নানা রকম ভাবে অত্যাচার চলছে, কই সেটা নিয়ে দেখি কোথাও আলোচনা করতে’ ।
আরও পড়ুন-মালদহে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, আর্থিক সাহায্য ও চাকরির ঘোষণা
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা, শতাব্দী রায় ও কিছু তৃণমূল বিধায়ক-সাসংদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমি কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাই না৷ আমি ছাত্রছাত্রীদের পাশে সবসময় আছি৷’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক মুখ। সেখানে যা ঘটছে সেটা সরাসরি শুনলাম। এগুলো কোনও ক্ষেত্রেই কাম্য নয়। শুনলাম, কাউকে পিএইচডি করতে দেওয়া হচ্ছে না, কোনও অধ্যাপককে টার্মিনেট করা হচ্ছে, পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। গৈরিকীকরণের চেষ্টার নিন্দাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন-দখলদারিতে কড়া ব্যবস্থা পুরসভার
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় খুশি ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। বললেন, উনি আমাদের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কেউ চাইলে রাজ্যে সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের কথাও তিনি বলেছেন।
এত কিছুর পরেও হাল ছাড়ছেন না উপাচার্য। তাঁর দাবি, জমি বিশ্বভারতীরই। উনি দখল-হওয়া জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। অমর্ত্য সেন নাকি ঠিক বলছেন না।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রতিক্রিয়া, উপাচার্য অপমানিত হয়েছেন বলে মনে করছেন। ওঁর যে মানসম্মানবোধ আছে তা জেনে খুশি হলাম। যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় মদমত্ত হয়ে এক নোবেলজয়ী প্রবীণ নাগরিককে অপমান করতে পারেন তাঁর উচিত আয়নায় নিজের মুখ দেখা।