সংবাদদাতা, বহরমপুর : ‘ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই, সাগরদিঘিতে দল ফের ঘুরে দাঁড়াবেই। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। সাগরদিঘির উপনির্বাচনই সব নয়।’ এই ভাষাতেই দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন-সাংসদের উদ্যোগে কংক্রিটের রাস্তা
খলিলুর রহমান বলেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলই জিতবে বলেই আশা ছিল। কিন্তু যাই হোক, ভোটে জয়-পরাজয় থাকেই। সাগরদিঘির মানুষের রায়কে মাথা পেতে নিচ্ছেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে এই হার, দলগতভাবে তার ময়নাতদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই মণ্ডল বলছেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে যা ভুল হয়েছে, সে সব আমাদের শুধরে নিতে হবে। সংগঠনকে আরও মজবুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে তৃণমূল। পুরোপুরি ধর্মীয় মেরুকরণের ভোট হয়েছে সাগরদিঘিতে। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন-লক্ষাধিক শূন্য পদ, যাত্রী পরিষেবা নিয়ে চিন্তায় রেল
সাগরদিঘির তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০২১-এ বিজেপি ৪৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। সেখানে এবার ২৫,৮০০-র কিছু বেশি ভোট পেয়েছে। বাকি প্রায় ২০ হাজার ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে। কেননা বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম মিলে অশুভ আঁতাত গড়ে তৃণমূলকে হারাতে চেয়েছিল। ওই আঁতাত আগেই ধরা পড়ে গিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গিয়ে প্রমাণ-সহ সে কথা বলেওছিলেন। ভোটগণনার পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলে জানান দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।