প্রতিবেদন : আলুর বাম্পার ফলনের কারণে ফসলের দাম না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। আলু চাষিরা যদি কেজি প্রতি সাড়ে ছ’টাকার কমে দাম পান তবে রাজ্য সরকার তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। খুব শীঘ্রই সরকারি ভাবে এবিষয়ে ঘোষণা করা হবে বলে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবছর আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কৃষকরা আলুর দাম প্রতি কেজিতে সাড়ে ছ’টাকার নিচে পেলে রাজ্য সরকার সেই লোকসানের অঙ্ক তাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-সিগনাল পার করে গাড়িতে ধাক্কা ট্রেনের
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের দাম না পাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে শস্যহানির কারণে কৃষকেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন রাজ্য সরকার সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। তারা যাতে উত্পন্ন ফসল সহজে বাজারজাত করতে পারেন এবং উপযুক্ত দাম পান তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সাতটি দফতরকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলুচাষিদের লাভ সুনিশ্চিত করতে রাজ্যেই আলুবীজ উত্পাদন করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর ও নদিয়ায় এই ভাইরাসমুক্ত আলুবীজ উত্পাদনের ফলে রাজ্যের কৃষকদের আলুবীজের জন্য পাঞ্জাবের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন-অস্ত্র জোগালে পরিণতি ভাল হবে না
কৃষিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রায় বিনামূল্যে তাদের ফসলের বিমা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আলু ও আখচাষিরা প্রিমিয়ামের মাত্র চার থেকে পাঁচ শতাংশ টাকা দিয়ে এই বিমার সুযোগ পান। গত বছর শস্যহানির জন্য কৃষকদের ৬৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। গত খারিফ মরশুমের শস্যহানির মূল্যায়ন চলছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকার উত্সাহিত করছে।