প্রতিষেধক বা টিকা চলতি কথায় যাকে বলে ভ্যাকসিন। ক্ষতিকারক রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখে টিকাকরণ। শরীরে নির্দিষ্ট একটি রোগের অ্যান্টিবডি তৈরি করে সেই রোগের টিকা। যাতে রোগটি না হয় এবং পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি পায়। রোগটি হবার আগেই টিকা নিলে শরীরে একটি সুরক্ষাবলয় তৈরি হয় সেই রোগ প্রতিরোধের। কোভিড আসার আগে ভ্যাকসিন শব্দটা ছোটদের মধ্যেই ঘোরাফেরা করত। কিন্তু কোভিডকালে আমরা বুঝেছি ভ্যাকসিন শব্দটা কত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৫ সালের ১৬ মার্চ ভারতে প্রথম ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তারপর থেকেই চলছে পোলিও টিকাকরণ কর্মসূচি। খুব সহজ ছিল না এই লড়াই। অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে অবশেষে ভারতকে পোলিও ফ্রি নেশনের তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)। তাই আজকের দিনটা আলাদা করে জাতীয় টিকাকরণ দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং প্রতিবছর এইদিনে একটি থিমও থাকে।
আরও পড়ুন-রান্নায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পান ইন্দুবালা
হু-র তরফে বলা হয়েছে কোভিড টিকাকরণের ফলে বিশ্বে অন্তত ২ থেকে ৩ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। যদিও আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ মাতামাতি নেই বিশেষ করে মেয়েদের। ঘরে-বাইরে কাজের ফাঁকে তাঁদের যেমন পুষ্টিতে ফাঁক পড়ে যায় তেমনই ভ্যাকসিনেও। সচেতনতার অভাবে আজও মহিলারা বিপন্ন। আজকের দিনে কতটা সচেতনতা জরুরি মহিলাদের টিকাকরণে? তাঁদের জন্য কী কী টিকা রয়েছে এই নিয়ে বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ ডাঃ পল্লব গঙ্গোপাধ্যায় দিলেন বেশ কিছু অজানা ও মৌলিক তথ্য যা প্রাপ্তবয়স্ক বা মহিলাদের টিকাকরণ নিয়ে ধারণাকে আর স্বচ্ছ করে তুলবে। তাঁর কথা অনুযায়ী সব টিকাই যা পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটাই নারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এমন কোনও ভ্যাকসিন বা টিকা নেই যা মহিলারা নিতে পারবেন না। ভ্যাকসিন বললেই শিশুদের কথাই প্রথমে মাথায় আসে। কারণ চাইল্ডহুড ভ্যাকসিনটাই প্রচলিত এবং এটা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন মানুষ। কিন্তু যেটা ধর্তব্যের মধ্যে ধরা হয় না সেটা হল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ। এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মহিলাদের টিকাকরণ নিয়ে বলতে গেলে তার গুরুত্বপূর্ণ তিনটে ধাপ রয়েছে।
আরও পড়ুন-ভারতের অস্কার জয়গাথা
একজন মহিলা যখন সন্তানের জন্য পরিকল্পনা করছে তখন, অপরটা হল একজন মহিলা ইতিমধ্যেই সন্তানসম্ভবা। আর তৃতীয়টা হল সন্তানধারণের পর এবং বয়সকালে যে টিকাগুলো নেওয়া যাবে। এই তিনটে ভাগে মহিলাদের টিকাকরণের প্রসঙ্গ আসে। এ-ছাড়া যেটা হয় তা হল জেনারেল ভ্যাকসিন বা টিকা যা সবাই নিতে পারে। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ টিকা যা সব বয়সের নারীর নেওয়া এই মুহূর্তে খুব জরুরি তা হল সার্ভাইকাল ক্যান্সারের টিকা।
আরও পড়ুন-ভরসার ভেলা, সুস্থ পথ চলা ভ্যাকসিন
এইচপিভি টিকা
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা দশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সি নারীর জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি একটি টিকা কারণ ৯৯ শতাংশ সার্ভাইকাল ক্যান্সারের কারণ হল হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। শুধু সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারই নয় এই ভাইরাসটি ভ্যাজাইনাল ক্যান্সার, ভালবাল ক্যান্সার এবং ভালবাল ওয়াট বা জেনিটাল গ্রোথেরও একমাত্র কারণ। তাই এই টিকার মাধ্যমে এই রোগগুলিরও প্রতিরোধ সম্ভব। এইচপিভি টিকা দু ধরনের হয় কোয়াড্রিভ্যালেন্ট এবং ন্যানোভ্যালেন্ট অর্থাৎ চাররকমের মিলিয়ে একটি টিকা এবং ন’রকমের মিলিয়ে একটি টিকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও যৌনসংসর্গ হয়নি বা সদ্য শুরু হয়েছে এমন সময় এই টিকা তখন নিলে সবচেয়ে ভাল। যেহেতু আমাদের এখানে বাল্যবিবাহের একটা রীতি রয়েছে। গ্রামের দিকে অনেক পরিবারে কৈশোর উত্তীর্ণ হবার আগেই আর্থিক দুশ্চিন্তা-মুক্ত হতে বাবা- মায়েরা বিয়ে দিয়ে দেন মেয়ের তাই এইচপিভি টিকা নেওয়া খুব জরুরি।
আরও পড়ুন-কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প দেশ জুড়ে হওয়া উচিত : বোস
যদিও এখন সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং কমবয়সে বিয়ে দেবার প্রবণতাও কমেছে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যেটা অনেকেই জানেন না এইচপিভি টিকা পুরুষেরাও নিতে পারে বরং বলা যেতে পারে পুরুষেরও নেওয়া উচিত কারণ ভাইরাসটি নারী শরীরে সংক্রমিত একমাত্র যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই— যা পুরুষের দ্বারাই প্রবাহিত হয়। কিন্তু পুরুষদের মধ্যে সেই সচেতনতা নেই। এইচপিভির কারণে পুরুষেরও পেনাইল ক্যান্সার হয় যদিও তার রেশিও মেয়েদের সার্ভিকাল ক্যান্সার হবার রেশিওর চেয়ে অনেকটাই কম, সেই সঙ্গে এই টিকা খরচসাপেক্ষও বটে। ফলে মহিলাদের মধ্যেই যেহেতু সচেতনতা নেই পুরুষের হবে কীভাবে! এতদিন অবধি দশ বছর থেকে তেরো বছর পর্যন্ত ছমাসের ব্যবধানে দুটো ডোজ নিতে হয় যদি সেটা না নেওয়া হয় তাহলে তেরো থেকে চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারাও এই টিকা নিতে পারেন। তিনটে ডোজ নিতে হবে সেই ক্ষেত্রে। বিদেশে বহু জায়গাতেই কলেজে ভর্তি হবার আগে তাঁদের এইচপিভি টিকা নেওয়া রয়েছে কি না দেখা হয়।
আরও পড়ুন-কর্মসূচি পালন, শৃঙ্খলায় জোর দিলেন অভিষেক
যখন সন্তানধারণের পরিকল্পনা
যখন কোনও মহিলা সন্তানধারণ করতে চাইছেন এবং তিনি চিকিৎসকের কাছে আসেন। ওই সময় চিকিৎসক তাঁকে কী কী টিকার পরামর্শ দেন বা কোনটা নেওয়া উচিত নয় এই নিয়ে ডাঃ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, সন্তানধারণের পরিকল্পনা নিয়ে যখন কোনও মহিলা প্রথম আসছেন তখন আমরা ধরেই নিই যে সেই মহিলা তাঁর সব চাইল্ডহুড ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। সেটা জেনে নেওয়াটাই প্রথম ধাপ। যেমন হেপাটাইটিস বি, মিজল, মামস, পক্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি টিকা তাঁর নেওয়া রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা জানতে হয় তা হল তিনি রুবেলার টিকা নিয়েছেন কি না। এই টিকা মহিলাদের জন্য খুব জরুরি। এটা এমএমআর-এর মধ্যেই দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা তৃণমূলের
রুবেলা ভ্যাকসিন এত গুরুত্বপূর্ণ কারণ রুবেলা যদি কোনও সন্তানসম্ভবা মহিলার হয় তাহলে তাঁর গর্ভস্থ শিশুর দৈহিক গঠনগত দিক এবং মানসিক দিক থেকে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দৃষ্টিগত এবং শ্রবণগত সমস্যা আসতে পারে। যাকে বলে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম। তাই রুবেলার টিকা নেওয়া আছে কি না জানতে হবে। কারণ রুবেলার টিকা নেওয়ার পর আগামী চারমাসের মধ্যে সন্তানধারণ করতে পারবেন না বা করা উচিত নয়। যদি এর মাঝে তিনি গর্ভবতী হয়ে যান তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যদি চিকিৎসক চান সেই ভ্রূণ না রাখার পরামর্শ দিতে পারেন। এর প্রধান কারণ রুবেলা হল একটি জীবন্ত ভাইরাস যার শক্তি কমিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে ভ্যাকসিনটা নিলে রোগটা হয় না। তবে প্রেগনেন্সির কুড়ি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে কিন্তু কিছু করার থাকে না। তখন গর্ভপাত একেবারেই অনুচিত যা মায়ের জন্য বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। তাই যিনি সন্তানধারণ করতে চান দেখতে হবে এই টিকা নেওয়া আছে কী না৷
আরও পড়ুন-তৃণমূলের দুর্গ থাকবে বাংলা, দিল্লি থেকে উৎখাত হবে বিজেপি, মনোবল তুঙ্গে সর্বাত্মক অভিযান
যদি না নেওয়া থাকে হয়তো মিস করেছেন বা খুব ছোটবেলায় একবার এমএমআর নিয়েছে কারণ এমএমআর দুবার দিলে ভাল হয় বারো থেকে পনেরো বছরের মাথায় সেটা অনেকেই নেন না। তখন সেটা দিয়ে দেওয়া হয়। তখন চারমাস গ্যাপ দিতে হবে সন্তান নেবার জন্য।
এ-ছাড়া আরও কয়েকটা টিকা রয়েছে যা সন্তান নেবার কথা ভাবলে বা সন্তান ধারণ করলে নেওয়া যায় না। কারণ এগুলোও রুবেলার মতোই জীবন্ত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যার শক্তি কমিয়ে রাখা হয়। যেমন বিসিজি টিকা, ওরাল পোলিও, জাপানিস এনকেফেলাইটিস টিকা, পক্সের টিকা বা ভ্যারিসেলা জস্টার। এই ভ্যাকসিনগুলো এই সময় কখনওই নেবে না বা নিলে চারমাস সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা ছাড়তে হবে। প্রেগনেন্সির সময় শরীরের ইমিউনিটি কমে যায় যার ফলে ওই সময় এইসব টিকা নিলে বা টিকা নেওবার পর-পরই গর্ভধারণ করলে এই রোগগুলো হতে পারে। শুধু মা নয় গর্ভস্থ শিশুরও হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের দুর্গ থাকবে বাংলা, দিল্লি থেকে উৎখাত হবে বিজেপি, মনোবল তুঙ্গে সর্বাত্মক অভিযান
কোন টিকা নিতেই হবে হবু মাকে
গর্ভবতী হবার পর একজন মহিলাকে যে যে টিকাগুলো নিতেই হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল টিড্যাপ (Tdap) টিকা অর্থাৎ মিলিতভাবে টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, অ্যাসালুলা পার্টুসিস বা হুপিং কাশি। প্রেগনেন্সির ২৭ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকাগুলো নেওয়া উচিত। ওয়ান শট এই ভ্যাকসিন একবারই নিতে হবে। এর ফলে মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যেটি গর্ভস্থ শিশুর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে যায়। শিশুকেও জন্মের পর এই তিনটে টিকা দেওয়া হয় ৬ সপ্তাহের মাথায়। কোনও কারণে যদি সেটা দেরি হয়ে যায় বা হয়তো ৮ সপ্তাহ পর দেওয়ানো হল সেক্ষেত্রে তখন মায়ের থেকে ইতিমধ্যেই যে অ্যান্টিবডি পেল তাতেই সে সুরক্ষিত থাকে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ টিকা হল কোয়াড্রিভ্যালেন্ট ইনফ্লুয়েঞ্জা অর্থাৎ চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে তৈরি একটি টিকা। এটাও গর্ভবতী মায়ের জন্য জরুরি কারণ, এই সময় তাঁদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার একটা ভয় বা প্রবণতা দেখা দেয়। এই দুটি টিকা সব সন্তানসম্ভবা মায়ের নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন-রক্ত-মাখানো ভাতের স্মৃতি, সিপিএমের রাজনীতি
এ-ছাড়া আরও যেসব টিকা রয়েছে তা মোটামুটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেমন বয়সকালে নিউমোকক্কাল টিকা। যারা ডায়াবেটিক ক্রনিক কোনও রোগে ভুগছেন তাদেরও এই টিকাটি নেওয়া জরুরি। অন্তত ৪৫ বছরের পর থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এটা নিতে হবে। এই টিকা বছরে একটা করে দিতে লাগে।
যে যে টিকাগুলোর কথা আলোচনা করা হল সবই অবিবাহিতা মহিলারা নিতে পারবেন। যেহেতু বিনা কারণে কেউ ভ্যাকসিন নেন না তাই বিবাহ-পরবর্তীতে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে টিকাগুলো নিয়ে নিতে পারেন। এই সব টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ডাঃ পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিমত, প্রতিটা টিকারই কোনও না কোনও হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যা খুব ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। শিশুদের টিকা দেবার পর যেমন বলে দেওয়া হয় যে একটু জ্বর আসতে পারে, গা-হাত-পা ব্যথা হতে পারে ঠিক তেমনই প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। যদি কারও অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে, দেখা যায় কোনও টিকা নেবার পর অ্যালার্জি বা রাশ বেরিয়েছে তখন যাঁর কনসালটেশনে তিনি রয়েছেন সেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি বলে দেবেন কীভাবে এই সমস্যা দুর করা যায়। কিন্তু অ্যালার্জি হবার আশঙ্কা খুবই কম।
আরও পড়ুন-দ্বিচারী কংগ্রেস, বিকল্প নীতিতে লড়বে তৃণমূল
সর্বোপরি যে প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক কারণেই আসে যে, কোভিড টিকা এখন কতটা প্রাসঙ্গিক? আমরা কি ধরেই নেব এই টিকার আর প্রয়োজন নেই? কোভিড ভ্যাকসিনের বর্তমান স্টেটাসটা ঠিক কী। এই নিয়ে তিনি বললেন, কোভিড টিকার প্রয়োজন নেই এটা বলার সময় এখনও আসেনি। কেউ যদি কোভিডের একটাও টিকা নেননি এবং ভাল আছেন তাঁরও এই মুহূর্তে কোভিডের টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই কোভিড চলে গেছে, আসলে মেজরিটি অফ দি পিপলের মধ্যে এখন হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে বলে আমরা টের পাচ্ছি না। কিন্তু কোনও কোনও রাজ্যে এখনও কোভিড রোগী পাওয়া যাচ্ছে। একদম চলে যায়নি। আর কোভিড এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে একজন সন্তানসম্ভবা মহিলার রিস্ক অনেক বেশি। তাঁদের এই দুটো রোগ-সংক্রমণ দ্রুত হবে এবং সহজে সুস্থ হতে পারবেন না— কাজেই প্রেগনেন্ট মহিলাদের কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা দুটো টিকা দেওয়া খুব জরুরি। কোভিডের ক্ষেত্রে অন্তত দুটো টিকা নিতেই হবে। সন্তানসম্ভবা মায়েদের জন্য এই টিকা যে সম্পূর্ণ নিরাপদ এটাও প্রমাণিত।