নয়াদিল্লি : দেশের গণতন্ত্র রক্ষা-সহ চার দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সংসদে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনায় বসছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। কালো ব্যাজ পরে লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সাংসদরা প্রতিবাদী ধরনায় শামিল হবেন। মূলত চারটি দাবিকে সামনে রেখে এই ধরনা কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। গণতন্ত্র বাঁচাও, সংসদ বাঁচাও, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বাঁচাও ও সংবিধান বাঁচাও।
বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা-সহ একাধিক ইস্যুতে কলকাতাতেও ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ একদিকে দেশের রাজধানী এবং অন্যদিকে রাজ্যের রাজধানীতে বসে প্রতিবাদে সরব হতে চলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-ব্যাপম কেলেঙ্কারি ফাঁস করা চিকিৎসককে বরখাস্ত করল বিজেপি
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে পথে নেমেছে সম্মিলিত বিরোধী শিবির। এর মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের বক্তব্য, এই মুহূর্তে বৃহত্তর ইস্যু হল দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই, কারণ মোদি জমানায় তা বিপদের মুখে। দেশের সমস্ত সাংবিধানিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লঙ্ঘন করছে বিজেপি সরকার। মঙ্গলবারও সংসদের দুই কক্ষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সভা শুরু হতেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর জেরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সভা স্থগিত হয়ে যায়। গণতন্ত্র বাঁচানোর বৃহত্তর লাড়াইতে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের মধ্যে খুবই ভাল সমন্বয় চলছে।
আরও পড়ুন-বাড়ছে প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের সময়সীমা
কংগ্রেস-সহ সব বিরোধীদের সঙ্গে এই ইস্যুতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে এগোচ্ছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতার মত বিনিময় চলছে। সোমবার রাতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়ির নৈশভোজে তৃণমূলের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য তৃণমূল প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান খাড়্গে ও জয়রাম রমেশ। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর যেভাবে কড়া নিন্দা করে প্রথম ট্যুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সেই ভূমিকার প্রশংসা করেন কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন-সবরীমালা মন্দির থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, জখম ৬২
এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে মুলতুবি হবে না বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তবে চলতি সপ্তাহে শনি ও রবিবার ছাড়া আরও দু’দিন সংসদ বন্ধ থাকবে। ফলে বুধবারের পর ফের সভা বসবে সোমবার। গত কয়েকটি অধিবেশনে নির্ধারিত সময়ের আগে সভা মুলতুবি করে দেওয়ায় বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সরকারপক্ষ। এদিন ডিএ কমিটির বৈঠকে বিরোধীরা দাবি জানান, আদানি ইস্যুতে যে একগুচ্ছ নোটিশ জমা পড়েছে তার উপর ২৬৭ ধারায় আলোচনা হোক। তবে সব নোটিশ খারিজ করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।