বিজেপিই পেল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দলের তকমা, কর্নাটকে সমীক্ষা রিপোর্টে জনরায়

৬৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বিজেপি রাজ্যের উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পাশে রয়েছে ৪৭ শতাংশ মানুষ।

Must read

প্রতিবেদন : কর্নাটকের ৫৯ শতাংশ মানুষ সাফ জানিয়েছেন বিজেপি হল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল। শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত দল হিসেবে চিহ্নিত করাই নয়, কর্নাটকবাসী মনে করছেন, রাজ্যের উন্নয়নেও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। ৬৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বিজেপি রাজ্যের উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পাশে রয়েছে ৪৭ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কর্নাটকের মানুষ বিজেপির তুলনায় কংগ্রেসের উপরেই ভরসা রাখছে বেশি। রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারবে। অন্যদিকে ৬৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার কাজ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন-মধ্যরাতের বর্বরতা পদক ফেরানোর ভাবনা

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শাহর এই আহ্বানে এখন মুচকি হাসছেন রাজনৈতিক মহলের মানুষ থেকে শুরু করে আমজনতা। কারণ কর্নাটকের সম্প্রতি করা জনমত সমীক্ষায় মানুষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।

আরও পড়ুন-বার্সা ঘুরে সৌদিতে মেসি

একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পাকে। রাজ্যের ঠিকাদার সম্প্রদায় অভিযোগ করেছিল কর্নাটকের বিজেপি সরকারের কাছে কোনও কাজ করতে গেলে ৪০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। শুধু অভিযোগ করাই নয়, ঠিকাদারদের অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছিলেন। এত ঘটনার পরেও শাহ কীভাবে রাজ্যের মানুষকে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন-ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

তবে শুধু ঠিকাদারদের কাজের জন্য কমিশন দেওয়াই নয়, পুলিশের নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ প্রতিটি ক্ষেত্রেই উঠেছে দুর্নীতির ভূরিভূরি অভিযোগ। কালবুরগির বিজেপি নেতা দিব্যা হাগারাগির নাম জড়ায় এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে শুধু দিব্যা একা নন, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্তরাই মূলত বিজেপি নেতা বা বিজেপি ঘনিষ্ঠ। এর আগে ঘুষ নিতে​ গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মাদল বিরুপাক্ষর ছেলে প্রশান্ত মাদল।

আরও পড়ুন-ব্যর্থ বিজেপি, মণিপুর নিয়ে সরব তৃণমূল

৪০ শতাংশ রাজ্যবাসী সিদ্দারামাইয়াকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বোম্মাইকে অপছন্দ করছেন রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ।

Latest article