ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইডির ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয় সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছর।

Must read

নয়াদিল্লি : পরপর তিনবার ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় প্রশ্ন করল শীর্ষ আদালত। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইডির ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয় সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছর। পরে সেই মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। কেন্দ্রর কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, এই পদের জন্য কি আর কোনও যোগ্য প্রার্থী নেই যাকে নিয়োগ করা যেতে পারে?

আরও পড়ুন-ব্যর্থ বিজেপি, মণিপুর নিয়ে সরব তৃণমূল

২০২১ সালের রায়ে সুস্পষ্টভাবে শীর্ষ আদালত বলেছিল, চাকরির বয়স পূর্ণ হওয়ার পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর পদে অধিষ্ঠিত অফিসারদের মেয়াদবৃদ্ধি স্বল্প সময়ের জন্য হওয়া উচিত। সেই সময়ই শীর্ষ আদালত বলে ইডি ডিরেক্টরকে আর কোনও এক্সটেনশন দেওয়া হবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই, সঞ্জয় মিশ্র কখন অবসর নেবেন, তা-ও সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান বিচারপতি। এক জন মানুষকে এতটা ‘ভরসা’ করার কারণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন-সংঘর্ষের আগুনে পুড়ছে মণিপুর, সেনার ফ্ল্যাগমার্চ

শীর্ষ আদালত বুধবার অত্যন্ত কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে জিজ্ঞেস করে, একজন ব্যক্তি কি এতটা অপরিহার্য হতে পারে? সলিসিটর জেনারেল এদিন বলেন, প্রশাসনিক কারণে মিশ্রের মেয়াদ বর্ধিত করা প্রয়োজন ছিল এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) দ্বারা ভারতের মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এরপরেই বিচারপতি বিআর গাভাই, বিক্রম নাথ এবং সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে জিজ্ঞাসা করে, আপনার মতে, ইডিতে যোগ্য আর কেউ নেই? ২০২৩ -এর পরে এজেন্সির কী হবে, যখন তিনি অবসর নেবেন?

আরও পড়ুন-‘কোনও হিন্দু, কোনও মুসলমান, কোনও রাজবংশী, কোনও মতুয়া, কেউ কিন্তু দাঙ্গা চায় না’ বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ইডির ডিরেক্টারের মেয়াদ নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না বলার পরও ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ আইনে পরিবর্তন আনে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সংশোধিত বিধিতে বলা হয়, সরকার চাইলে সিবিআই এবং ইডি প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এবং জয়া ঠাকুর সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার।

Latest article