সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব পড়তে শুরু করল সুন্দরবনে (Mocha- Sundarban)। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে, সঙ্গে দমকা বাতাস। দিনভর জেলার আকাশ আংশিক মেঘলা ছিল। বৃষ্টির পর সুন্দরবন এলাকার তাপমাত্রা নিম্নমুখী। মোকার (Mocha- Sundarban) প্রভাবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। দু’দিন বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের অধীন ১৩টি ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের তিনটি দল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বকখালি, সাগর, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ সমুদ্রতটের সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার থেকে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষে বকখালি সমুদ্রতটে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্রের কাছাকাছি দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এদিন সকালেও পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় কড়া নজরদারি ছিল। রবিবারও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। শনিবার সকালে কাকদ্বীপ হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা ও এনডিআরএফ যৌথ টহল দেয় মুড়িগঙ্গা ও কালনাগিনী নদী তীরবর্তী এলাকায়। কোস্টাল থানার ওসি মানিক সমাজদার উপকূলের মৎস্যজীবী পরিবারগুলিকে রবিবার পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরতে বারণ করেন। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তৈরি ফ্লাড শেল্টার ও স্কুল। মজুত আছে ত্রাণ।