প্রতিবেদন : রাজ্যে ৩০ হাজারের বেশি বাস-ট্যাক্সিতে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, একাধিক সংস্থার কাছ থেকে এই প্রযুক্তি কেনার সুযোগ মেলায় এর দাম কমেছে। আগে যেখানে একটি গাড়িতে এই প্রযুক্তি লাগাতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচা হত, এখন তা নেমে এসেছে ৫০০০ টাকায়। এর ফলে বাস-ট্যাক্সি মালিকরা নিজেদের গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-রেশন দিতে নয়া অ্যাপ
মন্ত্রী জানান, সমস্ত বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী গাড়িতে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ওই প্রযুক্তি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপরেও কোনও গাড়িতে তা না থাকলে সেই গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পুনর্নবীকরণ করা হবে না। অবস্থান নির্ণয়ের প্রযুক্তির পাশাপাশি ওই যন্ত্রের সঙ্গে প্যানিক বাটন থাকছে। যার ফলে যাত্রী, বিশেষ করে মহিলারা বিপদের সময় ওই বোতাম টিপে বিপদ সংকেত দিতে পারবেন। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জিপিএস প্রযুক্তি নির্ভর এই যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ির প্রতিমুহূর্তের অবস্থান এবং গতিবেগ জানা সম্ভব। এই ব্যবস্থার আওতায় প্রতিটি গাড়িতে প্যানিক বাটন বসানো বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন-নিজেদের বন্ড আনতে চলেছে কলকাতা পুরসভা
প্রাথমিক ভাবে সব যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, হলুদ ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলগাড়ি-সহ বিভিন্ন ভাড়ার গাড়িতে এই যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গাড়িতে সফরের সময়ে কোনও যাত্রী বিপদে পড়লে তিনি নিজেই প্যানিক বাটন টিপে সরাসরি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্থানীয় থানায় বার্তা দিতে পারবেন। পথে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাত্র আট সেকেন্ডের মধ্যে কন্ট্রোল রুমে বার্তা পাঠাবে। সেখান থেকে খবর পৌঁছবে স্থানীয় থানায়। এর জন্য কলকাতায় পোদ্দার কোর্টে আধুনিক কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। আরও দু’টি কন্ট্রোল রুম তৈরি হওয়ার কথা শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে।