প্রতিবেদন : মহানায়ক উত্তমকুমারের (Mahanayak Uttam Kumar) মৃত্যুর পর তাঁর দেহ রবীন্দ্র সদনে রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি তৎকালীন সরকার। আমরা সকলকে রবীন্দ্র সদনে রেখে মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিই। সোমবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে উত্তমকুমার স্মরণ অনুষ্ঠানে আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তাঁর বিশ্লেষণ, উত্তমকুমারকে মহানায়ক কেউ করেনি। মানুষ করেছেন। নাম দিয়েছেন। গ্রহণ করেছেন। ফলে মহানায়ক সম্মান অনেক গর্বের। তার কারণ, সরকার সম্মানিত করলে মানুষ গর্ববোধ করেন।
আরও পড়ুন- আড়রার বুড়োশিবতলায় শ্রাবণে আজও ঢল নামে ভক্তের
নিজের ছোটবেলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উত্তমকুমারের (Mahanayak Uttam Kumar) মুখোমুখি কোনওদিন হইনি। তবে বেশ মনে আছে, সেদিন আমি আর মা রাস্তার ধারে গল্প করছিলাম। কয়েকজন সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। বলছিল উত্তমকুমার মারা গিয়েছেন। কিন্তু মহানায়কের দেহ রবীন্দ্র সদনে না রাখায় আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। ২০১১ সালের পর থেকে শিল্পীদের মৃত্যুর পর জনসাধারণ যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন তাই রবীন্দ্র সদনেই দেহ রাখা হয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, যেদিন থেকে মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকে উত্তমকুমারের পরিবারের প্রত্যেককে এই দিনটিতে ডেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আমি আর নচিকেতা আলোচনা করছিলাম। ও বলছিল, উত্তমকুমারকে মহানায়ক করেছেন মানুষ। তাই তিনি চিরস্মরণীয়। আমিও সেই ভাবনাই ভাবছিলাম। ছোটবেলা থেকে আমি দেখেছি ছোটদের পাত্তা না দেওয়া আমাদের একটা চিরকালীন স্বভাব। কিন্তু আমাদের সরকার স্মার্টফোন, স্কলারশিপ, সাইকেল দেয়। মনেপ্রাণে চাই ঘরে ঘরে কন্যাশ্রী, মেধাশ্রী, ঐক্যশ্রী হোক। এখন অন্যরা আমাদের নকল করছে। দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অনেকেই অন্য নামে করছে। ভালই তো। ভাল জিনিস সকল নকল করে। এটাই তো দস্তুর।