প্রতিবেদন : জলপথ পরিবহণে (Water transport) বাংলায় আমূল পরিবর্তন আসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবহণ দফতর এই কাজ শুরুও করে দিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের নুরপুর থেকে হুগলির ত্রিবেণী পর্যন্ত গঙ্গার দু’পাড়ে ৫৮টি জেটি তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই ৯টি জেটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে আরও কয়েকটি জেটি তৈরির কাজ চলছে। এই কর্মকাণ্ড শেষ হয়ে যাবে ২০২৬ সালের মধ্যে। গোটা প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তা নিয়ে। প্রকল্প ব্যায় ১১০০ কোটি টাকায়। এরমধ্যে বিশ্বব্যাঙ্ক দেবে ৭০ শতাংশ। বাকি ৩০ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার। শনিবার বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ওই বৈঠকে কাজের অগ্রগতির মূল্যায়ন করা হয়। সেই সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে আর কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী শনিবার বলেন, এই জলপথ পরিবহণে (Water transport) থাকবে অত্যাধুনিক ভেসেল। যে ভেসেলে ২০০-র বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। জেটি ঘাটে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়া। মেট্রোর মতো বসানো হবে স্মার্ট গেট। যার ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় বসেও গিয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী বলেছেন, গোটা প্রকল্পটি অগ্রণী বা পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হলে শহরে গাড়ির চাপ কমবে। সেই সঙ্গে কমানো হবে দূষণের মাত্রাকেও। এসবের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে গঙ্গা পারাপারে তৈরি করা হচ্ছে রো রো সার্কিট। অর্থাৎ অনেকটা বার্জের মতো। যেখান দিয়ে পণ্যবাহী লরি পারাপার করবে অতি সহজে। বরানগরে এরকমই একটি রো রো সেতু তৈরির কাজের জন্য পাওয়া গিয়েছে জমিও। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি, জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হলে গঙ্গার দুই তীরের সৌন্দর্যায়ন বাড়বে। ক্যাফেটেরিয়াকে ঘিরে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান। মানুষের আগ্রহ বাড়বে নদীপথ ব্যবহার করার।
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে স্বাস্থ্যের বেহাল দশা, এইডস আক্রান্ত ৬০ প্রসূতি