প্রতিবেদন : সংঘাতপর্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়ল এআইএডিএমকে। সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ ত্যাগের প্রস্তাব পাশ করেছে এআইএডিএমকে। বলার অপেক্ষা রাখে না ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-র কাছে এটা বড় ধাক্কা।
আরও পড়ুন-মুসলিম পড়ুয়া নিগ্রহ-কাণ্ড, তদন্তে ঢিলেমির জন্য যোগী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
সোমবার এআইএডিএমকে ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর কে পি মুনুসামি দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব গত এক বছর ধরে আমাদের প্রাক্তন নেতাদের, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ইপিএস এবং আমাদের ক্যাডারদের সম্পর্কে অবিরাম কুমন্তব্য করে চলেছে। সেই সংঘাতের জেরেই যে এনডিএ সঙ্গ ত্যাগ সে-কথা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুনুসামি। যদিও এআইএডিএমকের তরফে জানানো হয়েছে, এনডিএ ছাড়লেও বিরোধী শিবির ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সে (ইন্ডিয়া) কী যোগ দেবে এআইএডিএমকে? এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও বিজেপি বিরোধী শিবিরের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রেখে চলেছে এআইএডিএমকে। তবে তারা যে বিজেপিকে হারাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। পৃথক ফ্রন্টের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এআইএডিএমকে এবং বিজেপির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে কয়েক মাস ধরে জল্পনা-কল্পনার পরে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে দল। তামিলনাড়ু বিজেপির প্রধান কে আন্নামালাই বারবার এআইএডিএমকে নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন যার জেরে দলের মধ্যে সংঘাত চরম আকার নিয়েছিল। অবশেষে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল এআইএডিএমকে।
আরও পড়ুন-জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে চাকলাধামের সংস্কার
এআইডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রনের মেন্টর হিসেবে পরিচিত সি এন আন্নাদুরাইয়ের সমালোচনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। যা নিয়ে দুই দলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এ-নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকও করেন দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এআইএডিএমকে দাবি জানায়, হয় আন্নামালাইকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে তাঁকে সরিয়ে অবিতর্কিত কোনও নেতাকে রাজ্য সভাপতির পদে বসাতে হবে। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে সেরকম কোনও ইঙ্গিত না মেলাতেই সোমবার বিজেপির হাত ছাড়ল এআইএডিএমকে। ফলে দক্ষিণে বিজেপির দেউটি সম্পূর্ণ নিভে গেল।