বিশ্বে বেড়েই চলেছে উষ্ণায়ন। এর জেরে উত্তর মেরুর শেষ বরফেও ধরেছে ফাটল। যা এই শতকের শেষে নিশ্চিহ্ন হতে পারে, সঙ্গে হারিয়ে যেতে পারে বহু মেরুপ্রদেশের প্রাণী।
আরও পড়ুন-আজব প্রথা, ঠোঁটকাটা নারীরাই সৌন্দর্যের প্রতীক!
উত্তর মেরুর লাস্ট আইসে বিশালাকৃতির গর্ত চোখে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। তাঁদের অনুমান, ২০২০ সালের মে মাসে ওই ফাটল তৈরি হয়েছে, যা ক্রমে বড় হয়েছে। আর্কটিকের এই অংশটিকেই সবচেয়ে স্থিতিশীল বলে মনে হত বিজ্ঞানীদের, সেখানে ফাটল ধরায় এবার সেখানেও বরফ গলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। লাস্ট আইসে যে ফাটল ধরা পড়েছে তাকে ‘পলিনিয়া’ বলা হয়। এই গর্তটি দু’সপ্তাহ ধরে তৈরি হয় বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। কিন্তু কেন এমন হল? বলা হচ্ছে, উত্তর মেরুর জোরদার অ্যান্টিসাইক্লোনিক হাওয়ার জেরে পলিনিয়াটি তৈরি হয়েছিল। পরে সেটি বুজে গেলেও মেরুর ওই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। গত অগাস্ট মাসে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস’-এ। সেখানে বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এমন বেশ কিছু পলিনিয়া তৈরির খবর তাঁদের কাছে রয়েছে। উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে সেই ছবি। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এ ভাবে চললে, এই শতকের শেষে ‘লাস্ট আইস’ সম্পূর্ণই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সঙ্গে চিরতরে হারিয়ে যাবে মেরু ভল্লুকের মতো প্রাণীরা।