প্রতিবেদন : ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার। বছরভর এই নিয়ে কাজ করবে সরকার। এর জন্য ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে প্রতিটি জেলায় চলছে বৈঠক। আগামী কাল বুধবার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম ১২৮টি পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসছেন।
আরও পড়ুন-সন্ধিপুজো নয়, মায়ের আরাধনা হয় ভোররাতে
বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ফের রাজ্যের সব দফতর ও জেলা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। পাশাপাশি পুজোর পর এনিয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন প্রকাশ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। আগেই জানা গিয়েছে, সংক্রমণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৬৮টি জায়গা থেকেই সবথেকে বেশি হচ্ছে। এইসব স্থান থেকেই ৯০ শতাংশ ডেঙ্গি রোগীদের সন্ধান মিলছে। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির মাঝে ম্যালেরিয়ার আতঙ্কও দেখা দিয়েছে। কলকাতা-সহ একাধিক অঞ্চল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। সব মিলিয়ে মশাবাহিত রোগের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন-সন্তোষে জয় দিয়ে শুরু করল বাংলা
প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতি ইতিবাচক হয়নি। তাই আরও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুজোর পর পর ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব কমাতে আরও একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করতে পারে রাজ্য প্রশাসন। আপাতত যে সব নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা ছাড়া আরও কিছু নিয়ম আনতে পারে সরকার। এর জন্য পুরদফতরের আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।