কামদুনি : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় বসু সোমবার জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল বিষয়টি শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কামদুনি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হল রাজ্যের পক্ষ থেকে। রাজ্যের যুক্তি, কামদুনি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিঘ্নিত হতে পারে আইনশৃঙ্খলা। সেই কারণেই স্থগিতাদেশ জরুরি। রাজ্যের বক্তব্য শুনে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সব পক্ষের বক্তব্য জানার পরে স্থগিতাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস হয়ে যাওয়া ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না? উত্তর দিতে হবে ৭ দিনের মধ্যে। জেল সুপারের মাধ্যমে তাঁকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

আরও পড়ুন-‘মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত’ এক্সে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় বসু সোমবার জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল বিষয়টি শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার। ঘটনার স্পর্শকাতরতার কথা বিবেচনা করে তিনি আমাদের সঙ্গে এই নিয়ে ব্যক্তিগতস্তরে আলাপ-আলোচনা করেন। আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং নির্দেশ দেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, মেয়েটিকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অবশ্যই এর সুবিচার চাই। সুবিচার দিতে হবে তাঁর পরিবারকে। সঞ্জয় বসু দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, আমরা গভীরভাবে আত্মবিশ্বাসী যে কলকাতা হাইকোর্টের রায় শীর্ষ আদালতে উলটে যাবে।
সোমবার সকালেই রাজ্যের পক্ষ থেকে বিশেষ আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি বি আর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয় এই আবেদনের।

আরও পড়ুন-দশমীতে অরন্ধন পালিত হয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে

রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণ। তাঁরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে আদালতকে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তা-ই নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদেরও সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির ভয়াবহতা তুলে ধরে এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন তাঁরা। শীর্ষ আদালতে তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই ধরনের অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনার দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হলে গুরুতর অশান্তির পরিবেশ তৈরি হবে রাজ্যে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেওয়ার ৩ দিনের মধ্যে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য।

Latest article