প্রতিবেদন : এই দমবন্ধকর অবস্থা চিরকাল চলতে দেওয়া যাবে না। যেভাবেই হোক দূষণ বন্ধ করতেই হবে। আমরা জানি না, কীভাবে তা বন্ধ করবেন, কিন্তু এই কাজ করতেই হবে। দিল্লির দূষণ রোধে মঙ্গলবার কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কৃষকদের দ্বারা খড় পোড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন-হংসেশ্বরী মন্দিরে ২০৯ বছর পর ছেদ পড়ছে বলিপ্রথায়
সুপ্রিম কোর্ট এদিন মন্তব্য করে, রাজধানীর বায়ুদূষণ রাজনীতির যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে না। শুধু তাই নয়, দেশের রাজধানীতে মানুষের স্বাস্থ্যকে হত্যা করা হচ্ছে বলেও তীব্র ভর্ৎসনা করেছে বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এদিন আদালত রাজ্যগুলির সংশ্লিষ্ট আধিকারিক, মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজির সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে ফসল পোড়ানো প্রতিরোধ করার কথা বলেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারের আরেক মানবিক প্রকল্প, ৮০ মৎস্যজীবীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড
বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মধ্যে একটি বৈঠকের জন্যও নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অবিলম্বে ফসল পোড়ানো বন্ধ করা হয়। একইসঙ্গে আদালত স্বীকার করেছে, যদিও খড় পোড়ানোই বায়ুদূষণের একমাত্র কারণ নাও হতে পারে, তবে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আদালত তাই নির্দেশ দিয়েছে যেভাবেই হোক খড় পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। আদালত মন্তব্য করেছে, বছরের পর বছর ধরে দিল্লি বায়ুদূষণের বর্তমান অবস্থা চলতে পারে না।
আরও পড়ুন-আমেরিকা, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে উরস উৎসবে সম্প্রীতির বার্তা মন্ত্রীর
মঙ্গলবার পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে একটি আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দেয়, পুরসভার কঠিন বর্জ্য খোলা জায়গায় পোড়ানো যাবে না। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল খড় পোড়ানো নিয়ে দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকারকে বলেছেন, দিল্লিকে বছরের পর বছর মারাত্মক বায়ুদূষণের মধ্যে ঠেলে দেওয়া যাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আপনারা কীভাবে এটা করবেন আমরা তা জানি না। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জোর করে হোক বা অন্য কোনও উপায়, এই আগুন থামাতেই হবে।
আরও পড়ুন-বারাসত যেন হ্যারি পটারের জাদুনগরী
এদিকে দিল্লির পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শুক্রবার থেকে ‘গুরুতর’ রেঞ্জে থাকার পরে মঙ্গলবার দিল্লিতে বায়ুর মানের সূচক‘খুব খারাপ’ বিভাগে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। যদিও টানা পাঁচদিনের মারাত্মক বায়ুদূষণের পরেও ‘খুব খারাপ’ বিভাগে আছে দিল্লি। রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দাঁড়িয়েছে ৩৯৪। রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত নিরাপদ সীমা প্রতি ঘনমিটার ৬০ মাইক্রোগ্রাম। যার থেকে সাত থেকে আটগুণ বেশি দূষণের মাত্রা বর্তমানে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা নির্ধারিত ১৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারের স্বাস্থ্যকর সীমার চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশি।