টানা ৯৬ ঘণ্টা উত্তরকাশীর টানেলে (Uttarkashi tunnel collapse) আটকে ৪০ শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকার্যে জাতীয় উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে রয়েছে বায়ুসেনাও। তবে সময় যত গড়াচ্ছে উদ্বেগ তত বাড়ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শ্রমিকরা। কারও বমি হচ্ছে, কেউ কাতরাচ্ছেন অসহ্য মাথা যন্ত্রণায়। গ্যাস্ট্রাইটিসে ভুগছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে নিয়মিত স্তরে জল, খাবার এবং ওআরএস পাউচ সরবরাহ করা হচ্ছে শ্রমিকদের কাছে।
জানা যাচ্ছে, একদিকে যেমন উদ্ধারের সমস্ত চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্তকিছু পাঠানো হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। টানেলের গভীরে ৪০ মিটার খনন করে উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে উদ্ধারকারী দল। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বড় একটি পাথরের চাঁই সরানো হয়েছে ‘অউগার’ নামের একটি যন্ত্র দিয়ে। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে ড্রিলিং করে, সেখান দিয়ে ৯০০ মিলিমিটারের একটি পাইপ ঢোকানো হয়েছে টানেলের ভিতরে। আর তারই মাধ্যমে খাবার, জল-সহ অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের। খাবারের মধ্যে রয়েছে ড্রাই ফ্রুটস, অঙ্কুরিত ছোলা প্রভৃতি। আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন চিকিৎসক ড. বিএস পোকরিয়াল। তিনি জানান ভিতরে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমরা পাইপের মাধ্যমে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট পাঠিয়েছি পাইপ দিয়েই জল ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের ওপারে প্রায় ১ কিমি এলাকায় ঘোরাফেরা করতে পারছেন শ্রমিকরা। এছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগও আছে। ৭০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার প্রায় ২৫-৩০টি বড় আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে টানেলে অক্সিজেন সরবরাহের কাজে আসবে সেগুলো।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে (Uttarkashi tunnel collapse) সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মধ্যে তৈরি হওয়া সুড়ঙ্গে ধস নামে রবিবার ভোরে। সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা এই টানেলের ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নামে। সেখানে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলার ৩ জন জয়দেব প্রামাণিক, মনির তালুকদার এবং শৌভিক পাখিরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল থেকে শুরু করে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন- সাংসদদের ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে পারবেন না আপ্তসহায়ক-সহ অন্য কেউই