প্রতিবেদন : মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির কোনও সাফল্যই নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। ভুল করেছে কংগ্রেস। শুধরে নিতে হবে তাদেরকেই। ফলাফল বেরনোর পরই এমনই মত তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের সাফ কথা, জমিদারি মনোভাব ছাড়তে হবে কংগ্রেসকে। ইন্ডিয়া জোটই চব্বিশের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন-মুখোমুখি মারুতি ভ্যান ও ইট বোঝাই ট্রাক্টর, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠালেন মন্ত্রী
রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিকে রুখতে বিভিন্ন রাজ্যে ব্যর্থ হচ্ছে কংগ্রেস। নিজেদের রাজ্যই সামলাতে পারছে না তারা। চার রাজ্যের ফল থেকে এখন শিক্ষা নিতে হবে তাদের। সেইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দেখা যাবে না। তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোটের যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী তাদেরকেই গুরুত্ব দেওয়া। নিজেদের দীর্ঘদিনের লালন করা জমিদারি মনোভাব ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইন্ডিয়া জোটে তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত কংগ্রেসের। কংগ্রেস একা চলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, এটা প্রমাণিত। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা সক্ষম, সেই দল বা ব্যক্তিকে জোটের নেতৃত্বে এগিয়ে দেওয়া হোক। দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। চব্বিশের ভোটে বিজেপিকে হারাতে এটাই স্ট্র্যাটেজি হওয়া উচিত। এই স্ট্র্যাটেজিতেই নিশ্চিতভাবে ইন্ডিয়া জোট লড়বে এবং বিপুল জয় পাবে। আর দলীয় নেতৃত্বই ঠিক করবেন এই জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন।
আরও পড়ুন-অভিষেকের প্রতিশ্রুতি পালন, বকেয়া টাকা দিল তৃণমূল
এদিন একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে দলীয় মুখপাত্র বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে নকল করে জিতছে বিজেপি। ফলে এটা প্রমাণিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক প্রকল্পগুলি গোটা ভারতে সাড়া ফেলছে। মানুষ এই প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেছেন। বিজেপি এখন কিছু না পেয়ে এই কৃতিত্বে ভাগ বসাচ্ছে। কুণাল বলেন, বাংলায় যখন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়ছে, তখন কংগ্রেসের প্রদেশ শাখা সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তলে তলে বিজেপির হাত শক্ত করার খেলায় মেতেছে। এরই ফল ভুগতে হচ্ছে হাত-শিবিরকে। এই ব্যর্থতা থেকে কংগ্রেসের এবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ দীর্ঘদিন কংগ্রেস ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখছে, তারা হেরে গিয়েছে। ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। তৃণমূল বাংলায় বিজেপিকে হারিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস নিজেদের রাজ্য ধরে রাখতে পারছে না।
একই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের বিভেদের রাজনীতিকেই তোপ দাগেন তৃণমূল মুখপাত্র। বলেন, জাতপাতের রাজনীতি করেই নির্বাচনের জয় পেতে চাইছে বিজেপি। তবে, বাংলায় সেই নিরিখে নয়, উন্নয়নের নিরিখেই ভোট হয়। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তিনবার ক্ষমতায় আছেন। আর বিজেপিকে বাংলার মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।