জয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজিত হল কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন এক পাঁচতারা হোটেলে। ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই সোসাইটি গত সাত দশক ধরে দেশজুড়ে হার্টের সমস্যা নিয়ে কাজ করে চলেছে। একদিকে গবেষণা, অন্যদিকে সামাজিক পরিসরে তার সঠিক প্রয়োগ।
আরও পড়ুন-কথা রাখলেন অভিষেক, চালু সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র
বর্তমানে দেশের বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হার্টের চিকিৎসার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে সিএসআই। চিকিৎসকদের কথায়, আজকাল ইসিজি, পিপিজি, পিসিজি সিগন্যাল বলছে, পড়ুয়াদের মধ্যে রিউমেটিক হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। একদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, অন্যদিকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ আর এই দুই মিলিয়ে এদিন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ নিয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট কার্ডিও বিশেষজ্ঞরা। উঠে এল সিভিডির উপর বায়ুদূষণের প্রভাবের কথাও। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হার্ট ব্লকের সমস্যা প্রায় প্রত্যেক ঘরেই। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে যা প্রাণঘাতী হতে পারে। আবার অনেকেই কার্ডিও সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন না।
আরও পড়ুন-কী কারণে চাকরি বাতিল, জানতে চায় আদালত
শুরুতেই ডাঃ অর্পণ পাল জানান, আজ এআই চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগের পৃথকীকরণ করতে সক্ষম হয় না এই প্রযুক্তি। সেই রিস্ক ফ্যাক্টরের কথাও তুলে ধরেন তিনি। ডাঃ দামিনী রায় জানান কীভাবে করোনারি আর্টারি ডিজিজের ক্ষেত্রে ডাক্তার আর মেশিন একসঙ্গে কাজ করে রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে। এআই কোন পদ্ধতিতে হাইরিস্ক জোনে পেশেন্টের প্রয়োজনীয় সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিক তথ্য সাধারণ ইসিজির থেকে অনেক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরতে পারে সেই ব্যাখ্যাও দেন তিনি।