সংবাদদাতা, বর্ধমান : রেলের অপদার্থতার সাম্প্রতিক নজির জলট্যাঙ্ক দুর্ঘটনা। যে বর্ধমান জংশনকে অমৃত স্টেশন ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে যাত্রী-নিরাপত্তায় নেই ন্যূনতম ব্যবস্থা। প্রতিদিন যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী, দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তবুও সেই স্টেশনে রেলের নিজস্ব কোনও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। আহত যাত্রীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীদের একমাত্র ভরসা টোটো। অভিযোগ, গতকালও যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন স্টেশনের বাইরে থাকা টোটোওয়ালারা এগিয়ে না এলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ত।
আরও পড়ুন-কৃষ্ণ জন্মভূমি বি.তর্কের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ নি.র্দেশ আদালতের
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নিয়ে তাঁরা একাধিকবার রেল আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যবস্থা তো দূরস্ত্ উল্টে রেল আধিকারিকদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদের কোনও হেলদোল নেই। ফলে মৃত্যুর হাতছানি নিয়েই প্রতিনিয়ত যাতাযাত করতে হয় নিত্যযাত্রীদের।
আরও পড়ুন-গ্রামে ইংরেজি স্কুল, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে মিছিল
গতকাল রেলের জলট্যাঙ্ক ভেঙে আহত যাত্রী শুসেন বল, রুদ্রপ্রসাদ সরকার, উজ্জ্বল মজুমদারদের অভিযোগ— যখন দুর্ঘটনায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে রেললাইনের ওপরে কাতরাচ্ছি তখন জিআরপি ও আরপিএফের কর্মীরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স, অ্যাম্বুল্যান্স করে চিৎকার করছেন। কিন্তু কোথায় অ্যাম্বুল্যান্স! সেই সময় টোটোচালক ভাইরা এগিয়ে না এলে কী যে হত ঈশ্বরই জানেন! বর্ধমান বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোর একটা, কিন্তু সেখানে স্টেশনে রেলের নিজস্ব একটা অ্যাম্বুল্যান্স নেই, এটা ভাবা যায় না। রেল আমাদের মতো যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে।