কৃষ্ণ জন্মভূমি বি.তর্কের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ নি.র্দেশ আদালতের

তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

Must read

প্রতিবেদন : কৃষ্ণ- জন্মভূমি বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ আদালতের। উত্তরপ্রদেশের মথুরার শাহি ইদগা মসজিদ জরিপে এবার সবুজ সঙ্কেত দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কাটরা কেশবদেব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় যে শাহি ইদগা মসজিদ রয়েছে, সেই মসজিদ চত্বর পরিদর্শনের জন্য একটি কমিশন নিয়োগের অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। আগামী সোমবার সার্ভের প্যানেল গঠন করা হবে। সেদিনই এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-ধান কেনায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক দাওয়াই রাজ্যের

গেরুয়া দলের মদতে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহাসিক স্থান ঘিরে বিতর্ক তৈরি করতে সক্রিয়। এর আগে তাজমহলকে নিয়েও একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। এবার কৃষ্ণ-জন্মভূমিকে ঘিরেও একই দাবি। মথুরায় কৃষ্ণের জন্মভূমি সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে, শাহি ইদগা মসজিদের জমিতে প্রাচীন কেশবদাস মন্দির ছিল, যা আসলে ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থল। পরে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদ খুঁড়লে এখনও সেখানে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেছে মামলাকারী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মথুরার নিম্ন আদালতে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার বিরোধিতা করে গতবছর ডিসেম্বরে হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। সেই মামলাতেই এবার মসজিদের জমি জরিপের নির্দেশ এল।

আরও পড়ুন-মৃত্যু বেড়ে ৪, নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা ঘোষণা রাজ্যের

তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই স্বত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। এরপরই দুই ধর্মের ভাবাবেগে সংঘাত লাগে। ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ। এর প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দুসেনার তরফে বিষ্ণু গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি গত বছর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন। ১৩.৭৭ একর জমির উপর শাহি ইদগা মসজিদ রয়েছে, এর একেবারে গায়ে লাগোয়া কাটরা কেশবদেব মন্দির। মসজিদের ওই ১৩.৭৭ একর জমিই মন্দিরের বলে দাবি হিন্দু সংগঠনগুলির।

Latest article