প্রতিবেদন : আইএসএলে ফের ঘরের মাঠে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal- Odisha FC)। যুবভারতীতে ওড়িশা এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথমবার এই দু’দলের মধ্যে ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হল। খারাপ রেফারিংয়ের শিকারও হল ইস্টবেঙ্গল। রেফারির ভুলেই জয় হাতছাড়া। এক পয়েন্ট পেল লাল-হলুদ। দু’বার নিশ্চিত পেনাল্টির আবেদন খারিজ করলেন রেফারি। টানা তিন ম্যাচে ড্র ইস্টবেঙ্গলের। স্বস্তি একটাই, জমাট রক্ষণে টানা চার ম্যাচ একটিও গোল হজম না করে ক্লিন-শিট রাখল কুয়াদ্রাতের দল। এদিনের ড্রয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরেই ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে জিততে না পারায় প্রথম ছয়ে উঠতে পারলেন না ক্লেটন সিলভারা।
ঘরের মাঠে রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণকে হাতিয়ার করেই শুরু থেকে তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রয় কৃষ্ণ, আহমেদ জাহুদের মাঝমাঠেই আটকে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার ওড়িশা রক্ষণে হানা দেয় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হতাশ করেন ক্লেটন সিলভারা। পাল্টা প্রতিআক্রমণে রয় কৃষ্ণরাও লাল-হলুদ রক্ষণে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সজাগ ছিলেন মাহের, লালচুংনুঙ্গারা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে কর্নার থেকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছেছিল ওড়িশা (East Bengal- Odisha FC)। কিন্তু আহমেদ জাহুর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট দুয়েক পরই বিপক্ষ বক্সে ক্লেটনের উদ্দেশে লম্বা বল ফেলেন লালচুংনুঙ্গা। ক্লেটনের গোলমুখী শট বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। ২৭ মিনিটে অসাধারণ একটি আক্রমণ থেকে প্রায় গোলের লকগেট খুলে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। বাঁ-দিক থেকে দৌড়ে ওড়িশার তিন ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে জোরালো শট নেন নন্দকুমার। কিন্তু ততোধিক দক্ষতায় অসাধারণ সেভ করেন ওড়িশার গোলরক্ষক অমরিন্দর সিং। নাওরেম মহেশ সিং ও নন্দকুমারের উইং নির্ভর আক্রমণ ওড়িশা রক্ষণে ঝটকা দিয়েও বিরতির আগে গোলমুখ খুলতে পারেনি। দু’টি দলই ফাইনাল পাসে নিখুঁত ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা জমেছিল। নন্দকুমার ও মন্দারকে তুলে মহম্মদ রাকিপ ও বিষ্ণুকে নামিয়ে আক্রমণ ও রক্ষণে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেন লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন মহেশ, ক্লেটনরা। তবে ৬১ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগটা চলে এসেছিল ওড়িশার কাছে। বক্সের বাঁ-দিক থেকে কৃষ্ণ নীচু পাস দিয়েছিলেন গোলের সামনে থাকা জেরির উদ্দেশে। কিন্তু ফাঁকা গোলের সামনে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি জেরি। নিষ্প্রভ কৃষ্ণকে তুলে দিয়েগো মরিসিওকে নামান লোবেরা। ইস্টবেঙ্গল বোরহাকে তুলে জেভিয়ার সিভেরিওকে নামিয়ে আক্রমণে লোক বাড়ান। বিষ্ণু, ক্লেটনরা আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়িয়েও গোলমুখ খুলতে পারেননি। শেষ লগ্নে জোড়া পেনাল্টি পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। একবার মোর্তাদা ফলের হ্যান্ডবল হয়। এবং বক্সের মধ্যে বিষ্ণুকে ফাউল করা হয়। কিন্তু দু’বারই পেনাল্টি নাকচ করেন রেফারি।
আরও পড়ুন- কুস্তি নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে, পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে প্রতিবাদ বজরংয়ের