প্রতিবেদন : রাজ্যের মডেল গ্রামগুলির পর্যালোচনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মডেল হিসাবে ঘোষিত গ্রামগুলির বাসিন্দারা নির্ধারিত মাপকাঠি মেনে পরিষেবা পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। রাজ্যের ৬ হাজার ৭৫৮টি মডেল গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে ফোন করা হচ্ছে পঞ্চায়েত দফতরের সিঙ্গল উইন্ডো পাবলিক গ্রিভান্স সেল ও স্টেট কন্ট্রোল রুম থেকে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে চূড়ান্ত বি.শৃঙ্খলা
ফোন করে ২০টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হচ্ছে। তার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে, সত্যিই রাজ্যের মডেল গ্রামগুলি তকমা ধরে রাখতে পারছে কি না। যেসব ক্ষেত্রে খামতি ধরা পড়ছে, সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। এখানেই শেষ নয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে ফের ফোন করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। কেন এই সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন? প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী চান তৃণমূল স্তরে মানুষ যেন কোনওরকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গ্রামই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। পঞ্চায়েত দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে ১২ জন কর্মী ফোন করে সরাসরি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।
আরও পড়ুন-ব্যাটিং বিপর্যয়ে হার হরমনদের
মডেল গ্রামে এভাবে সমীক্ষা চালানোর পাশাপাশি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ সেলে জমা হওয়া সমস্যাগুলি সমাধানের ক্ষেত্রেও এই কন্ট্রোল রুমকে কাজে লাগানো হয়। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, পরিচ্ছন্ন গ্রামের লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। মডেল গ্রামের উপর এই সমীক্ষার কাজ প্রায় এক মাস আগে চালু করেছে রাজ্য। দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে একাধিক মডেল গ্রাম। সেসব গ্রামে প্রত্যেকের বাড়িতে শৌচাগার, পর্যাপ্ত আলো, উন্নতমানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ঝাঁ চকচকে রাস্তা সহ নানা পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। সেই কারণে এই সমীক্ষা বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত চারটি জেলায় সমীক্ষার কাজ অনেকটা এগিয়েছে বলে খবর। তাতে দেখা যাচ্ছে হাওড়া, মালদহ এবং আলিপুরদুয়ারের তুলনায় এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা।