প্রতিবেদন : ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। দীর্ঘ এক দশকের ট্রফির খরা কাটিয়ে চূড়ান্ত সীমানা অতিক্রম করার চ্যালেঞ্জ। পারবে কি কেকেআর ২০১২-র পর মহেন্দ্র সিং ধোনির আইপিএল হোমে বিজয়পতাকা তুলে ধরতে? ফাইনালে নাইটদের প্রতিপক্ষ জানা যাবে শুক্রবার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বা রাজস্থান রয়্যালস, যেই সামনে থাকুক, শ্রেয়স আইয়াররা চূড়ান্ত লড়াইটা একই মানসিকতা নিয়ে খেলতে চান। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছে না কেকেআর। সুস্থ হয়ে মুম্বই ফিরে গিয়েছেন টিম মালিক শাহরুখ খান। রবিবার ফাইনালে চিপকে থাকতে পারেন বলিউড বাদশা।
আরও পড়ুন-বিজয়োৎসবে মাতলেন উঃ মালদহের প্রার্থী-সহ তৃণমূল কর্মীরা
বৃহস্পতিবার ফাইনালের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় নাইট ব্রিগেড। চিপকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নৈশালোকে অনুশীলন করেন শ্রেয়স, আন্দ্রে রাসেলরা। এদিন প্র্যাকটিসে ছিলেন না মিচেল স্টার্ক ও হর্ষিত রানা। সমালোচকদের জবাব দিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগুনে বোলিং করে কেকেআরকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা নেন স্টার্ক। ফাইনালে চিপকের মন্থর এবং ডাবল পেসড উইকেটেও নাইটদের বাজি হতে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি স্পিডস্টার। হর্ষিত রানা বা স্পিন-জুটি সুনীল নারিন, সিভি বরুণ তো রয়েছেনই। ব্যাটিংয়ে সবাই রানের মধ্যে। ফিল সল্ট দেশে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় প্রথম একাদশে ফিরেই রান করেছেন আফগানিস্তানের ওপেনিং ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ধারে-ভারে এগিয়ে থেকেই ট্রফির লড়াইয়ে নামবে কেকেআর।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে জয়ন্তী মহাকাল
ট্রফিতে চোখ রেখেও ফাইনালের আগে সতর্ক নাইট শিবির। অধিনায়ক শ্রেয়স বলছেন, ‘‘আমরা খুশি, আইপিএল ফাইনালে উঠতে পারায়। কিন্তু সন্তুষ্ট নই কারণ, একটা ম্যাচ এখনও বাকি। সেটাই ফাইনাল। আরও একটা ম্যাচে আমাদের ছন্দ ধরে রাখতে হবে। না হলে এতদিনের পরিশ্রমের কোনও মূল্য থাকবে না।’’
আরও পড়ুন-চিপকের সেই রাত কখনও ভুলব না: মনোজ তিওয়ারি
অপ্রতিরোধ্য নাইটরা খোশমেজাজে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকেআরের পোস্ট করা ভিডিওতে একের পর এক মজাদার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দুই ক্যারিবিয়ান তারকা। নারিন ও রাসেল দু’জনেই নিজেদের সবচেয়ে কুড়ে ক্রিকেটার বলে দাবি করেন। আরও একটি বিষয়ে একমত দু’জনে। সেটা হল, নাইট ড্রেসিংরুমকে সবসময় মাতিয়ে রাখেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু প্রতিপক্ষকে স্লেজিং করায় সবার আগে চলে এল ফিল সল্টের নাম। কিন্তু নাইট সংসারে সবচেয়ে দেখনদারি কার? রাসেল এগিয়ে রাখছেন নিজেকেই। তবে নারিন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারণায় বিশ্বাসী। তাঁর মতে, কেকেআর লোক দেখানো কাজকর্মে বিশ্বাস করে না। মাঠে সেরা ক্রিকেট তুলে ধরতে চায়। নারিনের কাছে কেকেআর হল ‘পরিবার আর ভালবাসা’।