প্রচার শুরু করে আত্মবিশ্বাসী সুজাতা জোর লড়াইয়ের বার্তা দিলেন সৌমিত্রকে

সহ্য করতে না পেরে সুজাতা নিঃস্বার্থ ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর সেই মহিলাকে বিয়ে করে বিষয়টি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন সৌমিত্র নিজেই

Must read

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : ব্রিগেডের ময়দান থেকে ফিরে প্রথম প্রচার শুরু করলেন তাঁর নির্বাচন কেন্দ্র জয়পুর থেকে। তৃণমূলের জেলা পরিষদ মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সুজাতা মণ্ডল জয়পুর থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদে যান। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আইনি জটিলতায় এলাকায় ঢুকতে পারেননি। তাঁর হয়ে সেসময় প্রচার করে স্ত্রীর ধর্ম পালন করে তাঁকে জিতিয়ে আনেন সুজাতা মণ্ডল। কিন্তু পরবর্তীকালে সাংসদ এক বিধবার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেন। সহ্য করতে না পেরে সুজাতা নিঃস্বার্থ ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর সেই মহিলাকে বিয়ে করে বিষয়টি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন সৌমিত্র নিজেই।

আরও পড়ুন-দুর্গাপুরে বিজেপির বহিরাগত তকমা ধুয়ে দিলেন আজাদ

রবিবার ব্রিগেডের সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে সুজাতার নাম ঘোষণা করার ফলে এই মুহূর্তে গোটা ভারত তাকিয়ে এই কেন্দ্রের দিকে। বিজেপি সাংসদ স্বামীর কেন্দ্রে স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় এখানকার ভোট যে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের টিকিটেই ২০১১ সালে প্রথম সাংসদ হন সৌমিত্র। পরের বার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে স্ত্রীর সাহায্যে জয়ী হন একথা নিজে স্বীকারও করেছেন। সুজাতা সেসময় রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। স্বামীর হয়ে প্রচারে নেমেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। জেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে স্বামীর হয়ে ভোটভিক্ষা করেন। কিন্তু তারপরই তাঁর জীবন অন্য মোড় নেয়। ২০২৩-এ তৃণমূলে যোগ দেন। শিক্ষিকা হিসেবে সুজাতা খুব অল্প বয়সে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পান। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের অমতে যে অন্যায় করেছি, তার প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন আমি তার জবাব লোকসভা ভোটে জিতেই দেব।

Latest article