খেজুর রসের টানে দেশান্তরি হন আবদুল

এদিন দুধিয়া গ্রামের আবদুল রহিমের বাড়িতে বসেই কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন দেশেও শীতের মরসুমে খেজুর গুড় তৈরির পেশার সাথে যুক্ত।

Must read

দিনের ২০ ঘণ্টা খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরির কাজ। অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও মুখে লেগে থাকা হাসি। প্রতিবছর খেজুরের রসের টানেই বাংলা থেকে এদেশে আসেন আবদুল রহিম। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগা থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। প্রতিবছর শীতের মরসুমে চলে আসেন এইদেশে। এসে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের গাজোলডোবা দুধিয়া এলাকায় ডেরা বেঁধে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরির কাজ করেন। গত ১০ বছর থেকে এই ভাবেই কাজ করে আসছেন তিনি।

আরও পড়ুন-ভূমিহীনদের জমির অধিকার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, উত্তর জুড়ে উন্নয়ন

এদিন দুধিয়া গ্রামের আবদুল রহিমের বাড়িতে বসেই কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন দেশেও শীতের মরসুমে খেজুর গুড় তৈরির পেশার সাথে যুক্ত। কিন্তু যেহেতু উত্তরবঙ্গেও প্রচুর খেজুর গাছ আছে কিন্তু সেই অর্থে গুড় তৈরি করা হয় না। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারতে আসা। তবে কোনও অবৈধ পদ্ধতিতে নয়। রীতিমতো পাসপোর্ট ভিসা করেই প্রতিবছর আসেন। এলাকার গ্রামগুলিতে থাকা খেজুর গাছ লিজে নিয়ে থাকেন। প্রায় ১০০টি গাছ লিজে নিয়ে রস সংগ্রহ করছেন বলে জানান। তাঁর তৈরি গুড় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, মালবাজার, ওদলাবাড়ি-সহ উত্তরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়। লাভ যে খুব একটা বেশি হয় তা নয়। তবু পেটের টানে ভারতে আসা। আবার শীতের মরশুম শেষে ফের নিজের দেশে ফিরে যান আবদুল।

Latest article