প্রতিবেদন : সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন সকাল ১১.৩৫ মিনিটে। যখন বেরোলেন তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ৮.৪৫ মিনিট। প্রায় ৯ ঘণ্টা ইডির প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বেরোনোর পর বুধবার রাতে সিজিও কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে ইডিকেই চ্যালেঞ্জ করে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বললেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে তার ১০ পয়সার প্রমাণ দিক ইডি।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গিতে প্রাণ হারালেন টলি অভিনেতার বোন
একইসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আমার মামলার শুনানি আছে। ইডি বিচারপতির কাছে আমার ‘স্টেটমেন্ট’ জমা দিক। ইডির কনভিকশন রেট ০.৪৮ শতাংশ। এই তথ্য দিয়ে অভিষেকের তোপ, রাজনৈতিক নির্দেশে ইডি কাজ করে। তাই তদন্তের নামে এক-একজনকে বছরের পর বছর জেলে ভরে রাখে, কিন্তু কিছু প্রমাণ করতে পারে না। তাঁর কথায়, আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে আদালতে জমা দিক ইডি। আমাকে গ্রেফতার করুক। একদিন-দু’দিন তো নয়। চার বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তকারী সংস্থা। ক্যামেরার সামনে যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা দূরে থাক, তাদের একবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেনি ইডি বা সিবিআই। এদের বিশ্বাসযোগ্যতা বলে আর কিছু নেই। এজেন্সির তদন্তকে ফেলুদা-জটায়ুর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে অভিষেকের বক্তব্য, জটায়ু আগে মনে মনে অপরাধী ঠিক করে তারপর অপরাধের তদন্ত করতেন, এরাও তাই। আগে থেকেই অপরাধী ঠিক করে নেয়। সারদা তদন্তের উদাহরণ দিয়ে অভিষেক বলেন, গত ৯ বছরের বেশি সময় ধরে এই মামলার তদন্ত চলছে। ডেভেলপমেন্ট কোথায়? কতো মানুষ সারদার টাকা ফেরত পেয়েছেন? ৬ বছরের বেশি সময় ধরে নারদার তদন্ত চলছে। কী পাওয়া গিয়েছে? আমি এখনও বলছি, নারদায় আমাদের দলের যাদের নাম রয়েছে, প্রমাণ থাকলে তাদের গ্রেফতার করুন। কিন্তু শুরুটা গদ্দার অধিকারীকে দিয়ে হোক। তবে ভাববেন না, এবার ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে আর গদ্দার গ্রেফতার হবে।
আরও পড়ুন-আরও ১৫ লক্ষ সাইকেল
ইডিকে তোপ দেগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা আজ যে প্রশ্ন আমাকে করেছে সেই একই প্রশ্ন দু’বছর আগেও করেছে। সেই প্রশ্ন আবার কখনও কয়লা, কখনও গোরু মামলাতেও করছে। তার মানে এরা আসলে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে। ইডির দায়িত্ব প্রমাণ করা। পারলে করুক। আমাকে নবজোয়ারের সময়ও ডাকা হয়েছিল। একদিনের নোটিশে বাঁকুড়া থেকে এসেছিলান। আজও এসেছি। আমি ইডি অফিসারদের বলে এসেছি আবার যখন, যেভাবে ডাকবেন আমি আসব। দিল্লির কাছে মেরুদণ্ড বিক্রী নেই। বুধবার রাতে ইডির ৯ ঘন্টার প্রশ্নত্তোর পর্ব সেরে বেরোনোর পর অপেক্ষারত মিডিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রায় একঘণ্টা ধরে।