সামনেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট দেশজুড়ে। ২০২৪-এর লোকসভার ভোটই এই মুহূর্তে পাখির চোখ। লক্ষ্য ৪২-এ ৪২! কিন্তু তার আগে সংগঠনকে ঝালিয়ে নিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নজর পঞ্চায়েত ভোটে। সোমবারই বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস । তারপরই উত্তরের তিন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে মূলত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিংয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদেরবেশ কিছু নির্দেশ-সহ কড়া বার্তাও দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশের বেসরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত কমপক্ষে আটজন
এদিন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে দীর্ঘ বৈঠক হয় অভিষেকের। যা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন জেলাতেই সবচেয়ে খারাপ ফল করেছিল তৃণমূলে। বিধানসভা ভোটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও এই সব জেলার একাধিক আসন হাতছাড়া হয়েছে। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার জেলায়। চা-বলয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছে তৃণমূল। তাই একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে যারা কাজ করবেন সেই স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করতে উদ্যোগী দল। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনসংযোগে দক্ষ, কাজ করার মানসিকতা আছে এমন ব্যক্তিত্বকেই যে সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল, একনজরে দেখে নিন তালিকা
এদিন বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা নিয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ নেতৃত্বকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও দাদাগিরি নয়। থানায় গিয়ে কিংবা প্রশাসনিক কাজে ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রর্দশন চলবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে। ইতিমধ্যে আগস্ট মাসের শ্রমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব। ৭৮টা চা বাগানে ৭৮ টা প্রস্তুতি বৈঠক, সভা হবে। ৪৮ ঘন্টা পর থেকেই সেই সভা শুরু। ১০ সেপ্টেম্বর রয়েছে বড় সভা।
আরও পড়ুন-বুধবার হবে মন্ত্রিসভার রদবদল, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
জনসংযোগ নিয়ে অভিষেকের বার্তা, বুথে বুথে যেতে হবে। ব্যক্তিগত লোক নয়, দলের লোক চাই। সভার ভিড় শেষ কথা নয়, ভিড় যেন ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয়। জনসংযোগে জোর দিতে হবে। এখনই রাস্তায় নেমে মানুষের কাছে যেতে হবে।