প্রতিবেদন: দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বিপাকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। দেশের সাংবিধানিক প্রধানকে ‘অপমান’ করায় কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। এই দাবিতে দলের মহিলা ব্রিগেডকে সামনে রেখে বিজেপি সাংসদরা লোকসভায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। বিজেপি সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে দুপুর বারোটা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর কক্ষের বাইরেও প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা।
আরও পড়ুন-কলকাতার পাশেই গড়ে উঠছে ইকো-পার্ক
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার সনিয়া গান্ধীকে তৃতীয়বার জেরা করে ইডি। তারই প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। ধরনা চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন সাংসদ অধীর চৌধুরি। দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতির বদলে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বসেন অধীর চৌধুরি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। তাঁরা দাবি জানায় এর জন্য সনিয়া গান্ধীকেও ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রমাণিত সনিয়া গান্ধী একজন আদিবাসী বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী। তারপরেই অধীরকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বিজেপি সাংসদরা।
আরও পড়ুন-কন্যাশ্রী রুখবে বাল্যবিবাহ, বাড়বে শিক্ষা
ঘটনায় অধীরের সাফাই, রাষ্ট্রপতি বলতে গিয়ে ভুল করে রাষ্ট্রপত্নী বলে ফেলেছেন। এতে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। বিজেপি তিল থেকে তাল করার চেষ্টা করছে। এই ভুলের জন্য যদি আমার ফাঁসি হয় তো হোক। এই ঘটনায় সোনিয়া গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কংগ্রেস।