কন্যাশ্রী রুখবে বাল্যবিবাহ, বাড়বে শিক্ষা

নোবেলজয়ী শিশু-অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী বৃহস্পতিবার মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করলেন।

Must read

প্রতিবেদন: নোবেলজয়ী শিশু-অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী বৃহস্পতিবার মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করলেন। প্রায় ১৫ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথা হয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎকার। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সত্যার্থী।

আরও পড়ুন-গঙ্গার নিচে শীঘ্রই মেট্রোর মহড়া

বলেন, ‘এই প্রকল্প এতটাই কার্যকর যে, আমি মনে করি, দেশের সর্বত্র কন্যাশ্রী থাকা উচিত। বয়ঃসন্ধির মেয়েদের স্কুলছুট আটকাতে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনবদ্য ব্যবস্থা করেছে।’ তিনি এই দূরদর্শিতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী-সহ প্রশাসনকে অসংখ্য সাধুবাদ জানান। তিনি মনে করেন, কন্যাশ্রী অন্য সব রাজ্যের কাছে মডেল হয়ে ওঠা উচিত। বলেছেন, ‘কন্যাশ্রীর মধ্যে আমি বিশাল পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এটি শুধু যে মেয়েদের স্কুলমুখী করেছে তাই নয়, মেয়েদের ক্ষমতায়নও ঘটাচ্ছে। এ-ক্ষেত্রে কন্যাশ্রী ক্লাবের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজের চেহারা বদলে দিতে পারে এটি। মানবপাচার, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ আমাদের সমাজে অবিরত ঘটে চলেছে। সে-জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। জোট বাঁধতে হবে, পুলিশ, পঞ্চায়েত, বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা-সহ অন্য সব পক্ষের সঙ্গে। প্রয়োজনে ধর্মীয় সংগঠনের সাহায্যও নিতে হবে।’

আরও পড়ুন-পাচারের আগে উদ্ধার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ

রাজ্যের স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্পেরও তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্য, কৈলাস সত্যার্থী শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। তাঁর এই কাজের জন্য ২০১৪ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প কন্যাশ্রীকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলার মেয়েরা ক্রমশ শিক্ষায় উপরে উঠছে। দেশের মধ্যেও এগিয়ে।

Latest article