প্রতিবেদন : অন্য কোনও রাজ্যকে সুযোগ না দিয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলি আয়োজনের ক্ষেত্রে মোদি-শাহ’র রাজ্য গুজরাতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের যে কোনও কর্মসূচির ক্ষেত্রে গুজরাতকেই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ধর্মের ভিত্তিতে নয়, বাংলায় ভোট হয় কাজের নিরিখে
কিছুদিন আগেই গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের জলমগ্ন ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতেই স্পষ্ট যে, ওই স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো আদৌ উপযুক্ত নয়। তার পরেও সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলি দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবের মোহালিতেও কোনও ম্যাচ না রাখার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের কোন স্টেডিয়ামে কোন ম্যাচ হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআইয়ের সম্পাদক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জয় শাহকে দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-টেস্টে সহ-অধিনায়ক রাহানে, অবাক সৌরভ
১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য এবং তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র কীর্তি আজাদ বলেছেন, এর একমাত্র কারণ হল প্রচার। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ হলে প্রচার পাবে। সেই জন্যই সেখানে ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের যাঁরা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাঁদের আগে ভাল ম্যাচ দেওয়া উচিত ছিল। নিজেদের মর্জিমতো ম্যাচ দিয়েছে বোর্ড। এটা খুবই দুঃখজনক। তৃণমূল নেতা সাকেত গোখেল ট্যুইট করেছেন, বিসিসিআই সম্পাদক এবং অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ সবসময়েই গুজরাতকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এটা নতুন কিছু নয়।
আরও পড়ুন-বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে ধস, উত্তরাখণ্ডে আটকে পর্যটক
মোহালিতে কোনও ম্যাচ না রাখায় ক্ষুব্ধ পাঞ্জাব সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ক্রিকেট বিশ্বকাপে আয়োজক শহরের তালিকা থেকে মোহালিকে বাদ দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। মোহালিতে ম্যাচ না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি।