ভাতায় প্রাণ বহুরূপী শিল্পে

তবে রাজ্য সরকার আমাদের শিল্পীর সম্মান দিয়েছেন, পরিচয়পত্র দিয়েছেন। প্রতি মাসে শিল্পীভাতা হিসাবে হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে।

Must read

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : বিষ্ণুপুরের পাড়ায় পাড়ায় চকবাজার, গোপালগঞ্জ, মটুকগঞ্জ, রবীন্দ্র স্ট্যাচুর সামনে দু’দিন ধরে শিব, হনুমান, জাম্বুবান সেজে বুকে সরকারের দেওয়া শিল্পী পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করে বেড়াচ্ছেন বীরভূম লাভপুরের চার বহুরূপী শিল্পী। এঁদের পূর্বপুরুষ এই পেশায় যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন-কিক বক্সিংয়ে দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে শিপ্রা

এঁরাও জীবিকার টানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান। বহুরূপী শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই পেশাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মাসে মাসে শিল্পীভাতা হিসেবে ১০০০ টাকা করে পান অনেকেই। এঁদের বক্তব্য, রোজ সকালে নানারকম পোশাক পরে এবং মুখে রং মেখে রাস্তায় নেমে মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমাদের কাজ। আগে অনেকেই এই পেশায় যুক্ত ছিলেন। আজকাল আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন-বালুরঘাটে হচ্ছে সুফল বাংলার স্টল

তবে রাজ্য সরকার আমাদের শিল্পীর সম্মান দিয়েছেন, পরিচয়পত্র দিয়েছেন। প্রতি মাসে শিল্পীভাতা হিসাবে হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। তাতে আমরা উৎসাহিত। কেননা সেই টাকায় আমাদের পোশাকের দাম উঠে আসে। এর ফলে পূর্বপুরুষদের লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে পারছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তাঁর জন্যই সরকারের শিল্পীভাতা করোনা কালে আমাদের পরিবারের মুখে অন্ন জোগাতে সাহায্য করেছে। আমরাও এই পেশায় টিকে আছি।

Latest article